প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়াও বিকেলের অবসর সময়টা দিগন্ত বিস্তৃত জলাশয়ে ঘুরে বেড়ানো ছিল অবসর সময় কাটানোর একমাত্র বিনোদন।
এসব এলাকাতে বর্ষা এলেই নৌকাবাইচ হতো।
রোববার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরের সূর্য একটু পশ্চিমে হেলে পরতেই দূর-দুরান্ত থেকে ছোট ছোট নৌকায় করে আসতে শুরু করে দর্শকেরা। প্রায় হারিয়ে যেতে থাকা ঐতিহ্য ‘নৌকাবাইচ’ দেখতে নারী-পুরুষের সঙ্গে শিশুরাও জড়ো হতে থাকে নদীর পাড়ে। ছোট ছোট নৌকা নদীর দু'পাড়জুড়ে সারিবদ্ধভাবে রেখে অপেক্ষায় থাকেন দর্শকেরা।
নৌকাবাইচকে ঘিরে কয়েক গ্রামের মানুষের এক মিল মেলায় পরিণত হয় নদীর চারপাশজুড়ে। যেন 'মরা গাঙে বইতে থাকে আনন্দের জোয়ার'।
বিকেল পাঁচটার দিকে শুরু হয় নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা। মূর্হুমুহু করতালি ও আনন্দ ধ্বনিতে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসে বিলপদ্মায়!
আয়োজকরা জানান, বর্ষা মৌসুমে বিভিন্ন এলাকায় গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচের আয়োজন করতো এলাকাবাসী। সময়ের বিবর্তনে নৌকা বাইচ নিয়ে প্রতিযোগিতা অনেকটাই হারিয়ে যেতে বসেছে। এক সময় এ এলাকায় জনপ্রিয় ছিল নৌকাবাইচ। সেই নৌকা বাইচের ধারাবাহিকতা মানুষের মধ্যে তুলে ধরতে মানুষের মনে আনন্দ উদ্দীপনা জাগ্রত করে তুলতে এই ব্যতিক্রমী আয়োজন করা হয়। প্রতিযোগিতায় বাঁশকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল বাশার মুন্সীর নৌকা প্রথমস্থান, নূর আলম খানের নৌকা দ্বিতীয়স্থান ও ছোহরাব তায়ানী এবং ইউসুব খান যৌথভাবে তৃতীয় স্থান অর্জন করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমরান আহমেদ। পরে সন্ধ্যায় প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন শিবচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. সেলিম মিয়া।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বাশকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ নুর মোহাম্মদ মল্লিকি, শিবচর থানা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ও শিবচর প্রেসক্লাবের সভাপতি একে এম নাসিরুল হক, বাশকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান আবুল বাশাার মুন্সী, বাশকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম রিপনসহ অন্যরা।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৮
এএটি