সোমবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বঙ্গোপসাগরের সুন্দরবন সংলগ্ন বঙ্গবন্ধুর চরে ভাসতে দেখে তাদের উদ্ধার করা হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত গভীর সমুদ্রে ফেয়ারওয়েবয়া, নারিকেলবাড়িয়া, দুবলাসহ একাধিক জায়গায় পৃথক অন্তত ৯টি ট্রলার ডুবে যায়।
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, সাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে ভাসতে ভাসতে পাথরঘাটার হারুন হাওলাদারের মালিকানা এফবি তানজিলা ট্রলারসহ ১১ জেলে সুন্দরবন সংলগ্ন বঙ্গবন্ধুর চরে উঠে যায়। সেখানে চারদিন না খেয়ে থাকেন তারা। পরে জাকির হোসেনের মালিকানা একটি ট্রলারের জেলেরা চরে ভাসতে দেখতে পেয়ে তাদের উদ্ধার করে বঙ্গবন্ধুর চর থেকে রওয়ানা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ট্রলার ডুবির ঘটনায় এখনো দুই ট্রলারসহ ৩৭ জেলে এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। নিখোঁজদের মধ্যে পাথরঘাটার জসিমের মালিকানা এফবি মা ট্রলারের ১৭, ছগির পহলানের মালিকানা এফবি আরমান ট্রলারের ৪জনসহ ৩৭জন। তাদেরকে উদ্ধারের জন্য অনুসন্ধান চলছে।
এদিকে রোববার সকালে রওয়ানা হওয়া বঙ্গোপসাগরে ডুবে যাওয়া ট্রলারের মধ্যে ভারতীয় জলসীমায় অনুপ্রবেশ করে ভারতের ঝাউতলা এলাকা থেকে আলম মোল্লার মালিকানা এফবি মহসিন আউলিয়া-৫ ট্রলারের ২২ ও মো.পনু আকনের মালিকানা এফবি সুজনের ১৭ জন বেলা ১১টার দিকে পাথরঘাটায় এসে পৌঁছে। তারা সবাই শারীরিকভাবে অসুস্থ।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৮
এএটি