রোববার (২৩ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাতে উপজেলার বড়বাড়ি ইউনিয়নের বিদ্যাবাগিশ এলাকায় এ ‘বন্দুকযুদ্ধ’ হয়। মনসুর ওই এলাকার নিয়াজ উদ্দিন আহমেদের ছেলে।
সোমবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহহফুজ আলম এতথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বাংলানিউজকে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার রাতে বিদ্যাবাগিশ এলাকা থেকে মনসুর ডাকাতকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তার দেওয়া তথ্য মতে, বাকিদের গ্রেফতার করতে তাকে নিয়ে ওই এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় ডাকাত চক্রটি পুলিশের ওপর হামলা করে মনসুরকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ শর্টগানের দুই রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এতে মনসুরের দুই পায়ে গুলিবিদ্ধ হন। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে গ্রেফতার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে চারটি রামদা, দু’টি ধারালো ছোড়া ও বেশ কিছু লাঠি জব্দ করা হয়।
তিনি আরও জানান, ডাকাত দলের হামলায় সদর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) ইমাম হাসান শামীম ও কনস্টেবল সোহেল রানা আহত হয়েছেন।
চুরি, ডাকাতি, অপহরণ ও মাদকের ১১টি মামলার আসামি মনসুর । এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে আরও একটি মামলা করা হয়েছে বলেও জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৮
এসআরএস