সোমবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তাকে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অশোক কুমার দত্তের আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে আদালত তার পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
কোর্ট পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) হানিফ মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের মাধ্যমে ওয়ারেন্ট ইস্যু করে সাঈদকে রোববার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। পরে তাকে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
গ্রেফতারকৃত সাঈদ ফতুল্লা পশ্চিম দেওভোগ বড় আমবাগান এলাকার ইকবাল হোসেনের ছেলে। নিহত মোনালিসা আক্তার স্থানীয় ব্যবসায়ী শাহীন বেপারীর মেয়ে। সে হাজী উজির আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুর কাদের জানান, গত ১৭ সেপ্টেম্বর ইন্টারপোলের মাধ্যমে আসামি সাঈদকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী দুবাইয়ে গ্রেফতার করা হয়। পরে সব প্রক্রিয়া শেষে ২৩ সেপ্টেম্বর তাকে দেশে নিয়ে আসা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ডিসেম্বরে সাঈদ বিয়ে করার জন্য দুবাই থেকে বাংলাদেশে আসেন। পরে পাশের বাড়ির মোনালিসাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় সাঈদের পরিবার। কিন্তু মেয়ের বয়স অল্প হওয়ায় সাঈদের প্রস্তাবে রাজি হননি মোনালিসার পরিবার। পরে সাঈদ পাশের এলাকার ইভা নামে মেয়েকে বিয়ে করেন। গত ২ ফেব্রুয়ারি একা বাড়ি পেয়ে মোনালিসাকে ধর্ষণের পর হত্যা করেন সাঈদ। পরে ঘটনা আত্মহত্যা হিসেবে চালিয়ে দিতে মরদেহ ফ্যানের সঙ্গে ঝুঁলিয়ে দেন। ঘটনার পর সাঈদ দুবাই পালিয়ে যান।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৮
আরআর