দালানকোঠা আর যানজটের শহরে প্রাণ ভরে শ্বাস নিতে ঢাকাবাসীর প্রধান বিনোদন কেন্দ্র রমনা পার্কের মোট আয়তন ৬৮ দশমিক ৫০ একর। এরমধ্যে ৮ দশমিক ৭৬ একরজুড়ে রয়েছে লেক।
রমনা পার্কে আগতদের জন্য লেকের চারিদিকে আধুনিক কাঠের ডেক নির্মাণ করা হবে। লেকে একটি আইল্যান্ডও নির্মাণ ছাড়াও পার্কের পুরাতন ফুটপাতের পরিবর্তে বসবে সিরামিকের ফুটপাত। লেকের উপরে একটি পানির ফোয়ারাও নির্মাণ করবে গণপূর্ত অধিদফতর।
‘ঢাকাস্থ রমনা পার্কের অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং রমনা লেকসহ সার্বিক সৌন্দর্য বৃদ্ধিকরণ’ প্রকল্পের আওতায় এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের মোট ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৮ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। ২০১৮ সালের অক্টোবর থেকে ২০২০ সালের ডিসেম্বর মেয়াদে রমনা পার্কের সৌন্দর্যবর্ধনে কাজগুলো বাস্তবায়িত হবে। প্রকল্পের প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছে অধিদফতর।
প্রকল্প প্রসঙ্গে পরিকল্পনা কমিশনের সিনিয়র সহকারী প্রধান (ভৌত পরিকল্পনা, পানি সরবরাহ ও গৃহায়ন উইং-১) আবুল বাকের মোহাম্মদ তৌহিদ বাংলানিউজকে বলেন, রমনা পার্কের সার্বিক সৌন্দর্যবর্ধন, লেক ও ফুটপাতের উন্নয়নে প্রকল্পটি নেওয়া হচ্ছে। প্রকল্পের প্রস্তাবিত ব্যয় ৪৮ কোটি টাকা। প্রকল্পটি মূলত বাস্তবায়িত হবে ঢাকাবাসীর বিনেদনপ্রেমীদের জন্য। প্রকল্পের মাধ্যমে ঢাকা শহরে স্বাস্থ্যকর ও নির্মাণ পরিবেশ নিশ্চিত করা হবে।
তিনি জানান, সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে জনসাধারণের হাঁটা-চলার সুযোগ বৃদ্ধি, উন্মুক্ত স্থানের যথাযথ ব্যবহার, শিশু-কিশোরদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য খেলাধুলার ব্যবস্থা করা হবে। পার্কে নির্মিত হবে একটা আধুনিক রেস্টুরেন্ট, শিশু কর্নার, দুটি আধুনিক ব্রিজ,একটি গভীর নলকূপ ও বিটুমিনাস সড়ক।
রমনা পার্কে প্রতিদিন বিপুলসংখ্যক মানুষ সকাল ও বিকেলে ভ্রমণে আসেন। সৌন্দর্যপিপাসুরাও নিয়মিত আসেন পার্কটিতে। জাতীয় দিবসগুলোতে পার্কে মেলা ও বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। পারিবারিক মিলনমেলা ও পিকনিকের জন্যও রমনা পার্ক ব্যবহার করেন নগরবাসী।
পার্কটিতে অভিভাবকরা প্রতিদিন তাদের সন্তানদের নিয়ে আসেন। সেখানে আছে নামমাত্র একটি শিশু পার্ক। পর্যাপ্ত টয়লেট সুবিধা নেই পার্কে। বর্ষা মৌসুমে পার্কে বিভিন্ন স্থানে পানি জমে থাকে। ফুটপাতের বেহাল দশার কারণে দর্শনার্থীদের চলাচলেও হয় অসুবিধা। এসব কারণেই ঢেলে সাজানো হচ্ছে রমনা পার্ক।
বাংলাদেশ সময়: ০৮০২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৮
এমআইএস/এমজেএফ