শনিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মহাখালী বাস টার্মিনালে ‘ট্রাফিক সচেতনতামূলক কর্মসূচি’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এ কথা জানান।
মীর রেজাউল আলম বলেন, উন্নতবিশ্বের মতো আমরাও আধুনিক গণপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তুলবো।
আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থার অংশ হিসেবে এরইমধ্যে মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শুরু হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, তারপরেও এসব মাধ্যমে রাজধানীর মাত্র ১৫ শতাংশ মানুষ চলাচলের সুযোগ পাবেন। বাকি ৮৫ শতাংশের মধ্যে কিছু সংখ্যক প্রাইভেটকার বা মোটরসাইকেলে চলাচল করলেও অধিকাংশই গণপরিবহনে চলাচল করবেন। তাই গণপরিবহনের সুশৃঙ্খলাটাই সবচেয়ে জরুরি।
সড়কে শৃঙ্খল পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে ডিএমপি'র পক্ষ থেকে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা ট্রাফিক সপ্তাহ পালন করেছি, এখন ট্রাফিক সচেতনতামূলক মাস চলছে। এরপর আমরা প্রতিনিয়ত নতুন নতুন কর্মসূচি নিয়ে আসবো।
সমাবেশে উপস্থিত চালক-শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে ডিএমপি'র ঊর্ধ্বতন এ কর্মকর্তা বলেন, সড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিতে চালক-শ্রমিক থেকে শুরু করে পথচারী পর্যন্ত সবারই দায়িত্ব রয়েছে। সবার স্বার্থে সবাইকে আইন মানা জরুরি। মালিক ও চালক-শ্রমিকদের দায়বদ্ধতা বেশি, কারণ তাদের মাধ্যমে পরিবহন ব্যবস্থা পরিচালিত হয়।
এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন ট্রাফিক উত্তর বিভাগের যুগ্ম-কমিশনার মোসলেউদ্দিন আহমেদ, ট্রাফিক উত্তরের উপ-কমিশনার (ডিসি) প্রবীর কুমার রায়, মহাখালী বাস টার্মিনাল মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।
বক্তারা চালক-শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন। সমাবেশ শেষে ডিএমপি ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তা ও চালক-শ্রমিকদের অংশগ্রহনে একটি র্যালি অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৮
পিএম/জেডএস