শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
রেজাউল কুমিল্লার ব্রাক্ষণপাড়া থানার নগরপাড় এলাকার খোরশেদ আলমের ছেলে।
নিহত রেজাউলের বন্ধু তানজিল বাংলানিউজকে জানান, ভোরে সাত বন্ধু মিলে হামহাম জলপ্রপাত দেখতে মৌলভীবাজার আসেন। সকাল ১০টার দিকে তারা হামহাম জলপ্রপাতের পানিতে নেমে সাঁতার কাটেন। প্রথমে পানির তলার মাটি ছোঁয়া গেলেও এক পর্যায়ে তারা ঠাঁই পাননি।
এ সময় রেজাউল সাঁতার না জানায় তিনি পানিতে ডুবে যান। তাকে উদ্ধার করতে পানিতে নামে অন্য বন্ধুরা। এতে তানজিল, প্রিন্স, দিগন্ত ও সাইস পানিতে ডুবে যায়। এসময় সঙ্গে থাকা গাইডের সহযোগিতায় তাদের উদ্ধার করে অন্যান্য বন্ধুরা। পরে আধাঘণ্টা পর রেজাউলকে উদ্ধার করেন তাদের আরেক বন্ধু। দ্রুত তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখান থেকে তাদের মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে আনার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রেজাউলকে ঘোষণা করেন।
তানজিল বলেন, আমরা যখন জলপ্রপাতে যাই তখনও কোনো মানুষ আসেনি সেখানে। আমরাই দিনের প্রথম ট্যুরিস্ট দল ছিলাম। প্রথম সবকিছু স্বাভাবিক ছিলো। যে জায়গায় আমরা দাঁড়িয়ে ছিলাম সে জায়গা মাত্র পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে ঠাঁই পাইনি। এতো পানি বাড়লো কিভাবে জানিনা। উপরে ওঠেও যেমন পানি দেখেছি তেমই দেখতে পাই।
কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) সুদিন চদ্র দাশ বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৮
এনটি