মঙ্গলবার (১২ মার্চ) ডিএনসিসি এলাকার বিভিন্ন খাল পরিস্থিতির সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে এ কথা বলেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।
গত রোববার (১০ মার্চ) দায়িত্ব নেওয়ার পর মেয়র হিসেবে মাঠ পর্যায়ে প্রথম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে আতিকুল ইসলাম বলেন, আজ আমাদের এলাকার উত্তরার শায়েস্তা খান এভিনিউ, আশকোনা সড়ক, বনানীর মেট্রোরেল প্রকল্প এবং বাড্ডার সুতি খাল পরিদর্শন করি আমি।
এদিন শুরুতে উত্তরার শায়েস্তা খান এভিনিউয়ের একটি খাল পরিদর্শনের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ের পরিদর্শন শুরু করেন মেয়র আতিকুল ইসলাম। এসময় সেখানে ডিএনসিসি, ওয়াসা, পিডিবি, রেলওয়েসহ বিভিন্ন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে খাল সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান। ওয়াসার এক কর্মকর্তাকে উদ্দেশ্য করে মেয়র প্রশ্ন করেন, ‘খাল উদ্ধার করতে পারবেন আপনারা?’ কর্মকর্তা বলেন, ‘পারবো’। মেয়র প্রশ্ন করেন, ‘এজন্য কী আমাকে তাঁবু গেঁড়ে বসতে হবে?’। কর্মকর্তা বলেন, ‘না স্যার। দ্রুত খাল উদ্ধার হবে’। পাল্টা প্রশ্নে মেয়র বলেন, ‘কবে উদ্ধার হবে? আমাকে নির্দিষ্ট সময় বলেন। আমি টাইমলাইনে বিশ্বাসী’। তখন ঐ কর্মকর্তা বলেন, ‘এপ্রিলের মধ্যেই খাল উদ্ধার হবে’।
সবশেষে মেয়র বলেন, এখন সময় এসেছে যে, নগরবাসী একটি সুন্দর, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন শহরে ভোগান্তি, দুর্ভোগ ছাড়া বাস করবেন। আমি কোনো অযুহাত শুনবো না। প্রয়োজনে আমি খালে নেমে খাল খনন করবো। যেখানে আটকে যাবেন, পারবেন না; আমাকে বলবেন। আমি চাই বর্ষার আগে যত দ্রুত সম্ভব খালগুলো উদ্ধার করে নগরবাসীকে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দেবো। আজকে যেসব জায়গায় বলে এসেছি তারা দখল সরিয়ে না নিলে আগামী রোববার থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হবে।
সবশেষে খাল পুনরুদ্ধারে গণমাধ্যমের সাহায্য চেয়ে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, আমরা কাজ করছি, করবো। আপনারা সবসময় আমাদের সঙ্গে ছিলেন। আমি আহ্বান জানাচ্ছি যেন আপনারা আগামীতেও আমাদের সঙ্গে থাকেন। ভালো কিছু করতে হলে জনমত গঠন করতে হবে। জনমতের সামনে কোনো কিছু টিকবে না। আর জনমত গঠনে গণমাধ্যমের বিকল্প কিছু নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০২ ঘণ্টা, মার্চ ১২,২০১৯
এসএইচএস/জেডএস