রোববার (১৭ মার্চ) সকাল ৮টার দিকে বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরীর কাছে ফিরে আসা জেলেরা এ অভিযোগ করেন।
এর আগে শুক্রবার (১৫ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে চট্টগ্রামের জাহাজের খারি এলাকায় এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
ফেরে আসা জেলে জানায়, জলদস্যুরা জেলেদের মারধর করে বরগুনা পাথরঘাটার ‘এফবি মা’ ভোলা জেলার ‘এফবি হিমা’ চট্টগ্রাম জেলার বাশঁখালীর ‘এফবি কহিনুর’ ও ‘এফবি জান্নতুল ফেরদৌস’ ট্রলাসহ ২০ জেলেকে অপহরণ করে নিয়ে যায় জলদস্যু বাহিনী।
অপহৃত জেলেদের মধ্যে রয়েছেন - বরগুনা জেলার পাথরঘাটার এফবি মা ট্রলারের আব্দুর রহিম মাঝি, ফারুক, বেল্লাল ও কুডি মিরা এবং ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলার এফবি হিমা ট্রলারের জাকের মাঝি। বাকিদের নাম জানা যায়নি।
এফবি মা ট্রলারের ফিরে আসা জেলে জাহিদ, কালাম শিকদার, রাজু, হাসান, কামালের বরাত দিয়ে গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, শুক্রবার সকালে বঙ্গোপসাগরের জাহাজ খারি এলাকায় জেলেরা জাল ফেলে অপেক্ষা করছিলো। সকাল ১০টার দিকে হঠাৎ ২০ থেকে ২৫ জনের একটি বাহিনী অগ্নেয়াস্ত্র পাইপ গান ও কাটা রাইফেল নিয়ে জেলে বহরে হামলা চালায়।
তিনি বলেন, রাত ১২টার দিকে বাগেরহাট জেলার মোড়লগঞ্জের মনিরের মালিকানাধীন ‘এফবি মনির’ ট্রলারে জেলেদের উঠিয়ে দিয়ে মুক্তিপণের দাবিতে চারটি ট্রলারসহ ১৬ জেলেকে অপহরণ করে নিয়ে যায় তারা। পরে ফিরে আসা জেলেরা রোববার (১৭ মার্চ) সকাল ৭টার দিকে কক্সবাজারে পৌঁছায়। তারা বর্তমানে কক্সবাজারের ফিসারি ঘাটের মাছুম আড়তদারের হেফাজতে রয়েছেন।
পরে সকালে মোবাইল ফোনে ০১৮৬৮৭৯২১১৯ ও ০১৬৯০১২৮৭৫৯ নম্বর থেকে ১৬ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে জলদস্যু বাহিনী। তবে ওই বাহিনীর নাম জানা যায়নি বলেও জানান তিনি।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৭) এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর মেহেদী মোবাইল ফোনে বাংলানিউজকে জানান, খবর শোনার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের দল উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে। অপহৃত জেলে ও ট্রলার উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০১৯
জিপি