রোববার (১৭ মার্চ) জাতীয় শিশু দিবস এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মবার্ষিকীর দিনে ঢাকার উত্তর অংশ জুড়ে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শুরু করেন মেয়র আতিকুল ইসলাম। ডিএনসিসির ২৪নং ওয়ার্ড আওতাধীন ওই সড়কটি থেকেই এ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ১৮০ জন শিক্ষার্থী দেয়ালগুলোতে এসব ছবি আঁকছেন। তাদের নির্দেশনায় ছবি আঁকছে আশেপাশের বেশ কয়েকটি স্কুলের শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও আছেন প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরাও। সব মিলিয়ে প্রায় তিনশ শিক্ষার্থী নিজেদের তুলির আঁচড়ে রাঙ্গিয়ে তুলছেন প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক সড়কের দুই পাশের দেয়ালগুলো।
সরেজমিনে দেখা যায়, এসব দেয়ালে চিত্রকর্মের মাধ্যমে দেশীয় ঐতিহ্য, ইতিহাস ও ঐতিহাসিক ঘটনা, স্বাধীনতা ও ভাষা আন্দোলন, দেশের উন্নয়নের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি আঁকা হচ্ছে এখানে। আঁকা হচ্ছে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর ছবি, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ সহ দেশের উন্নতি ও প্রগতির স্মারক বহনকারী বিভিন্ন বিষয়ের ছবি।
চিত্রকর্ম আঁকার দলের সদস্য এবং চারুকলা অনুষদের ছাত্রী মাইশা আফরোজ বাংলানিউজকে বলেন, এ সড়কটি নিয়ে পত্র-পত্রিকায় অনেক লেখা দেখেছি। প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক এ সড়ক উদ্ধারের জন্য অবরুদ্ধও হয়েছিলেন। কিন্তু সড়কের সুশ্রী বেশিদিন টেকেনি। সড়কটি যদি ভালো থাকে, সুন্দর থাকে তাহলে আমাদের চিত্রকর্মগুলো ভালো থাকবে। আর এর অংশ হিসেবে আমাদের মাঝেও ভালো লাগা কাজ করবে।
এদিকে সড়কটি যেন আবার নোংরা হয়ে না যায় তার জন্য ট্রাক স্ট্যান্ডের সবার সহযোগিতা চেয়েছেন নতুন মেয়র আতিকুল ইসলাম। এবিষয়ে বাংলানিউজকে তিনি বলেন, এ সড়কটি নিয়ে আমার কাছে অনেক অভিযোগ এসেছে। আমাদের বড় ভাই প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক সড়কটি উদ্ধার করেছিলেন। কিন্তু তিনি আমাদের ছেড়ে চলে যাবার পর সেটি আবার দখল হতে শুরু করে। আজ ঢাকাবাসীর জন্য পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম এখান থেকে শুরু করলাম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিষ্কার, পরিচ্ছন্ন আর সুন্দর ঢাকা দেখতে চেয়েছেন। এ সড়ক এখানকার মানুষদের কাছে দিয়ে গেলাম। তারাই এটি দেখভাল করবেন। যদি ব্যত্যয় ঘটে আমি ব্যবস্থা নেবো। আমাদের ছেলে-মেয়েরা কষ্ট করে এসব ছবি আঁকছে। এগুলো নষ্ট হতে দেওয়া যাবে না।
২০১৫ সালের ২৯ নভেম্বর সড়কটি দখল করে গড়ে ওঠা ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান স্ট্যান্ড সরিয়ে দিতে এসে শ্রমিকদের তোপের মুখে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছিলেন আনিসুল হক। তার দৃঢ় অবস্থানের কারণে সেবার ট্রাক স্ট্যান্ডমুক্ত হয় সড়কটি। এরপর সেখানে আধুনিক পাবলিক টয়লেট স্থাপনসহ বেশ কিছু উন্নয়ন কাজও করা হয়। তবে ২০১৭ সালের নভেম্বরে তার মৃত্যুর পর থেকে ধীরে ধীরে আবারও দখলদারদের কবলে যেতে থাকে সড়কটি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪২ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০১৯
এসএইচএস/এসএইচ