রোববার (১৭ মার্চ) শাহজাহানপুর মির্জা আব্বাস ডিগ্রি কলেজ অডিটোরিয়ামে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও শিশু দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কলেজের অধ্যক্ষ লুৎফুননেছা।
সহকারী প্রক্টর আবদুর রহিম বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রুশ বিপ্লব ও প্রথম বিশ্বযুদ্ধোত্তর এক অস্থির সময়ে জন্মগ্রহণ করেন। তার বেড়ে ওঠার সময়ে তিনি খেলাফত আন্দোলন, বিশ্বব্যাপী মহামন্দা, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা প্রত্যক্ষ করেন। বিশ্বব্যাপী খাদ্য ঘাটতি, যুদ্ধের নির্মমতা, নিরন্ন মানুষের হাহাকার, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা তার মনে গভীর রেখাপাত করে। সে কারণে তিনি সারা জীবন মানবতার মুক্তির আন্দোলন করে গেছেন।
ঢাবির এ সহযোগী অধ্যাপক বলেন, বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান আন্দোলনে সক্রিয় অংশ নিলেও, ১৯৪৭ সালের পাকিস্তান তার রাষ্ট্রচিন্তা ছিল না। কাজেই অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি লক্ষ্য স্থির করলেন, বাঙালিকে মুক্তির মন্ত্রে দীক্ষা দিলেন। অবশেষে বাঙালিকে উপহার দিলেন একটি স্বাধীন সার্বভৌম জাতিরাষ্ট্রের। শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা হলেও তিনি মূলত তৃতীয় বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষের স্বপ্নদ্রষ্টা।
তরুণ প্রজন্মের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে নিজেদেরকে যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলবে। পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনকে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি ধন্যবাদ জানান।
আলোচনা সভা ছাড়াও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় এবং জাতির জনকের জন্মদিন উপলক্ষে কেক কাটা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৭ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০১৯
এসকেবি/জেডএস