ঢাকা, রবিবার, ১২ মাঘ ১৪৩১, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ২৫ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

প্রতিকৃতি তৈরির কাজ শেষ করতে ব্যস্ত চারুকলা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০১৯
প্রতিকৃতি তৈরির কাজ শেষ করতে ব্যস্ত চারুকলা চারুকলায় চলছে বর্ষবরণের প্রতিকৃতি বানানোর শেষ সময়ের কাজ/ছবি: শাকিল

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ। যা উদযাপনের কেন্দ্রবিন্দু চাকুকলা এবং প্রধান আকর্ষণ মঙ্গল শোভাযাত্রা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ব্যবস্থাপনায় এ বৃহৎ কর্মযজ্ঞ সম্পাদিত হয়। আর মাত্র একদিন পরেই উল্লাসে মাতবে পুরো দেশ। কিন্তু শোভাযাত্রার মূল আকর্ষণ প্রতিকৃতির সম্পূর্ণ প্রস্তুতি শেষ হয়নি।

নির্ধারিত সময়ের আগে কাজ শেষ করতে বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলায় দিনরাত পরিশ্রম করছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।  

উৎসব আয়োজনের দায়িত্বে থাকা চারুকলার শিক্ষার্থী উৎপল ভৌমিক বাংলানিউজকে বলেন, আমরা প্রতিকৃতিগুলোর অবয়ব দাঁড় করিয়েছি।

এখন পেপার পেস্টিংয়ের কাজ চলমান। প্রস্তুতির শেষ বলতে কিছু নেই। শোভাযাত্রার দিন ভোরেও আমাদের কার্যক্রম চলবে। সবাই আন্তরিকতা নিয়ে কাজ করছে।  

শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সরেজমিনে দেখা গেছে, জয়নুল গ্যালারির দক্ষিণ পাশে প্রতিকৃতিগুলোর কাজ চলছে। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বাইরের কিছু শ্রমিক রয়েছেন। যেসব প্রতিকৃতির অবয়ব পুরোপুরো প্রস্তুত হয়েছে সেখানে রঙ্গিন পেপার, বাকি প্রতিকৃতিগুলোতে পেপার পেস্টিংয়ের মাধ্যমে সৌন্দর্য্য বর্ধন করা হচ্ছে। অন্যদিকে জয়নুল গ্যালারির বাইরে বৈশাখ উপলক্ষে তৈরি করা লোকজ বিভিন্ন মোটিভ বিক্রি চলছে। অনেকে বিদেশি পর্যটকও আসছেন সেখানে।

জানতে চাইলে বিক্রির দায়িত্বে চারুকলার শিক্ষার্থী অর্দি অন্ত রায় উর্মি বাংলানিউজকে বলেন, শেষ সময় চলে আসায় বিক্রি বেড়েছে। আমরা এ টাকা দিয়ে পুরো মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজনের কাজ শেষ করে থাকি।  

নিরাপত্তা কর্মী মোহাম্মদ আলী বাংলানিউজকে বলেন, সকাল থেকে লোকজন আসে। তবে বিকেলে সবচেয়ে বেশি লোকের আগমন ঘটে। শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাত ১২টা পর্যন্ত বিক্রির কার্যক্রম চলবে।  

মঙ্গল শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে চারুকলার বাইরে দেয়ালে রং তুলির সাহায্যে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে বাঙালি ঐতিহ্যের ধারক-বাহক। বিভিন্ন ধরনের চিত্রকর্মে সেখানে স্থান পেয়েছে। এছাড়া বর্ষবরণকে নিয়ে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনারোধে পুলিশি পাহারা রয়েছে। গতবারের মতো কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে এবারও বাংলা নববর্ষ বরণ করা হবে বলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

১৪ এপ্রিল সকাল ৯টায় ‘মস্তক তুলিতে দাও অনন্ত আকাশে’ প্রতিপাদ্য নিয়ে শোভাযাত্রার উদ্বোধন করবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।  

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বাংলা নববর্ষ বরণের দিন চারুকলা অনুষদ কর্তৃক প্রস্তুতকৃত মুখোশ ছাড়া কোনো ধরনের মুখোশ বহন করা যাবে না। এছাড়া টিএসসিতে জরুরি চিকিৎসার জন্য চিকিৎসক থাকবে। পাশপাশি বর্ষবরণে আগত লোকদের জন্য পানি সরবরাহ করা হবে।  

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান সুষ্ঠুভাবে সব কাজ শেষ করতে সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা চেয়েছেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০১৯ 
এসকেবি/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।