রোববার (২৫ আগস্ট) সকালে উপজেলার পচারহাট ব্যাঙ্গেরডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন একটি পুকুর থেকে সাবেদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
শনিবার (২৪ আগস্ট) স্কুল ছুটির পর থেকে নিখোঁজ ছিল সাবেদ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রাইভেটকার চালক সালাম তার স্ত্রী রুনা বেগম ও মেয়ে শরিফা আক্তারসহ (১০) ঢাকায় থাকতেন। আর তাদের ছোট ছেলে সাবেদ পচারহাট গ্রামে নানা হামিদুল ইসলামের বাড়িতে থেকেই ওই স্কুলে লেখাপড়া করতো। শনিবার (২৪ আগস্ট) সকালে সাবেদ স্কুলে যায়। কিন্তু দুপুরে স্কুল ছুটির পর আর সে বাড়িতে ফেরেনি।
এদিকে, সাবেদ নিখোঁজ হওয়ার খবরে রোববার সকালে গ্রামে এসে পৌঁছায় তার বাবা-মা। এদিন সকালে ওই বিদ্যালয় সংলগ্ন পুকুর থেকে সাবেদের ভাসমান মরদেহ উদ্ধার হয়। এসময় শিশুটির শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল। পরে দুপুরের পর ময়না-তদন্তের জন্য মরদেহটি নীলফামারীর আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ।
সাবেদের বাবা সালামের অভিযোগ, তার ছেলেকে এলাকার কেউ সুপরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে।
ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মফিজ উদ্দিন শেখ বাংলানিউজকে বলেন, এ ঘটনায় শিশুটির বাবা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। দুর্বৃত্তরা সুপরিকল্পিতভাবে শিশুটিকে পিটিয়ে হত্যার পর ওই পুকুরে ফেলে দিয়ে পালিয়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০১৯
এসআরএস