রোববার (২৫ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, দু’বছর আগে, মিয়ানমারের রাখাইনে নিরাপত্তা বাহিনীর চৌকিতে জঙ্গিদের আক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে লাখ লাখ নিরস্ত্র পুরুষ, মহিলা এবং শিশুদের ওপর নৃশংস আক্রমণে লিপ্ত হয়েছিল মিয়ানমার সামরিক বাহিনী।
রাখাইনের রাজ্য কেবল মিয়ানমারের একমাত্র জায়গা নয়, যেখানে বিগত ৭০ বছর ধরে সামরিক বাহিনী দেশটির জনগণের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। রাখাইন রাজ্যের পাশাপাশি কাচিন ও শান স্টেটস এবং মিয়ানমারের অন্যান্য স্থানে সামরিক নির্যাতন অব্যাহত রয়েছে। আমরা মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সেখানে প্রবেশাধিকারের অনুমতি দেওয়ার আহ্বান জানাই।
বিবৃতিতে বলা হয়, রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের চলমান উদারতার প্রশংসা করি আমরা। যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গা সংকটের শুরু থেকে মানবিক সহায়তা হিসেবে ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে প্রায় ৫৪২ মিলিয়ন ডলার সরবরাহ করেছে। আমরা অন্যদের এই মানবিক সহায়তায় অবদান রাখতে আহ্বান জানাই। ১০ লাখেরও বেশি শরণার্থী যারা বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে, আমরা তাদের সঙ্গে রয়েছি। মিয়ানমারের শক্তিশালী, শান্তিপূর্ণ, সুরক্ষিত, সমৃদ্ধ গণতন্ত্র গড়ার প্রচেষ্টার জন্য ন্যায়বিচার এবং জবাবদিহিতা অপরিহার্য বলে আমরা মনে করি।
একই সঙ্গে রাখাইন রাজ্যের জন্য গঠিত কফি আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০১৯
টিআর/জেডএস