মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সকাল ১১টায় এ ঘটনা ঘটে। দুপুরে আহতদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় আহতদের বড় ভাই রুস্তম আলী বাদী হয়ে বিকেলে সোনারগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে কালিয়া ভিটা গ্রামের ফেদু মিয়ার ছেলে আজিজুল ইসলামের জামদানি কারখানায় সুমন নামে এক কারিগর কাজ করে। মঙ্গলবার সকালে কাজে ভুল করায় কারখানার মালিক আজিজুল ১২ বছর বয়সী সুমনকে থাপ্পড় মারে। থাপ্পড়ের ঘটনায় সুমন আজিজুলের প্রতিবেশী এনামুল হকের ছেলে সামিরের কাছে বিচার দাবি করে। এ ঘটনায় আজিজুলের কাছে সামির ও তার সহযোগী মোবারক হোসেনের ছেলে শাহিন, আলিমউল্লাহর ছেলে আকিব, জমির আলীর ছেলে কাজল এসে সুমনকে মারধরে বিষয়টি জানতে চান। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক হয়।
একপর্যায়ে সামিরের নেতৃত্বে শাহিন, আকিব ও কাজল দেশীয় অস্ত্রে রামদা, লোহার রড ও লাঠিসোটা নিয়ে আজিজুলের বাড়িতে হামলা চালায়। হামলায় আজিজুল, আব্দুস সাত্তার মিয়া ও ইউসুফ আহত হয়। তাদের ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে আব্দুস সাত্তার মিয়ার অবস্থা আশঙ্ঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন তার স্বজনেরা।
আহত আজিজুল ইসলামের ভাতিজা আব্দুল গাফফার আপন জানান, দীর্ঘদিন ধরে আমার চাচা আজিজুল ইসলামের সঙ্গে সামির আলীর বড় ভাইয়ের জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছে। এ বিরোধের ক্ষিপ্ত হয়ে কারিগর সুমনের বিচার সালিশকে কাজে লাগিয়ে সকালে পরিকল্পিভাবে হামলা করে। হামলায় আমার তিন চাচা আহত হন। আহত আব্দুস সাত্তারের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
অভিযুক্ত সামিরের সঙ্গে যোগাযোগ করলে অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, অল্প বয়সী কারিগর সুমনকে আজিজুল বিনা কারণে বিভিন্ন সময়ে মারধরে করে থাকে। পরে সুমন বিষয়টি জানালে আমরা গিয়ে তার কারণ জানতে চাইলে আজিজুল আমাদের গালমন্দ করেন।
সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, তিন ভাইকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করার ঘটনায় অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৯
এএটি