মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সকালে যশোর শহর থেকে আশরাফুল ইসলাম সুমন নামে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশের একটি দল। জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মারুফ আহম্মেদ দলটির নেতৃত্ব দেন।
অভিযান শেষে দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, গ্রেফতার আশরাফুল ওরফে সুমনের বিরুদ্ধে নড়াইল, রাজশাহী, যশোর কোতোয়ালি ও বাঘারপাড়া থানায় চারটি প্রতারণা ও ধর্ষণ মামলা রয়েছে।
জেলা পুলিশের একটি সূত্র বাংলানিউজকে জানায়, প্রাথমিক স্বীকারোক্তিতে আশরাফুল ধর্ষণ ও প্রতারণা প্রসঙ্গে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন। তবে তদন্ত না করে সেসব তথ্য প্রকাশ করতে অনাগ্রহী পুলিশ।
সম্প্রতি আশরাফুলের বিরুদ্ধে যশোরের বাঘারপাড়ায় এক নারীর করা মামলার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, সেনাসদস্যের পরিচয়ে সুমন ওরফে সুমন হাসান ওরফে সুমন মোল্লা বিভিন্ন নারীকে টার্গেট করে বন্ধুত্ব ও প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করতেন। পরে দেখা করার নামে সেসব নারীকে ধর্ষণ ও তার ভিডিও ধারণ করতেন। পরবর্তীতে তা ফাঁস করার ভয় দেখিয়ে ওই সব নারীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিতেন অর্থ। এভাবেই ‘সিরিয়াল ধর্ষক’ হয়ে ওঠেন আশরাফুল।
পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তিতে আশরাফুল জানান, বিভিন্ন সময়ে প্রতারণার মাধ্যমে ১৯ নারীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়ান তিনি। গোপন ক্যামেরায় এসব ভিডিও করার কথাও স্বীকার করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৯
ইউজি/এইচজে