ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত ট্রান ভ্যান খোয়া মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) স্পিকারের কার্যালয়ে বিদায়ী সাক্ষাৎ করেন।
রাষ্ট্রদূত ট্রান ভ্যান খোয়া স্পিকারের সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ করতে এলে স্পিকার এ অনুরোধ জানান।
সাক্ষাৎকালে তারা বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মধ্যকার বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপ, ব্যবসা-বাণিজ্য, রোহিঙ্গা ইস্যু, টেকসই উন্নয়ন ও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করেন।
জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
স্পিকার বলেন, ভিয়েতনাম বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র। বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মধ্যকার ঐতিহাসিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে স্পিকার বলেন, আগামী দিনগুলোতে দু’দেশের মধ্যকার বিদ্যমান সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।
তিনি বলেন, দু’দেশের সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সফর বিনিময়ের মাধ্যমে বর্তমান সম্পর্ক আরও জোরদার করা সম্ভব। ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারের মাধ্যমেও দু’দেশের সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হতে পারে।
এ সময় তিনি অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথ-ইস্ট এশিয়ান নেশনস (আসিয়ান)-এর আসন্ন সম্মেলনে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন ইস্যুতে ভিয়েতনামকে বাংলাদেশের পাশে থেকে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানান।
স্পিকার ভিয়েতনাম সফর ফলপ্রসূ উল্লেখ করে ভিয়েতনামের স্পিকারকে ধন্যবাদ জানান। এসময় তিনি ভিয়েতনামের স্পিকারকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
ভিয়েতনামের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত ট্রান ভ্যান খোয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নের ধারার প্রশংসা করে বলেন, সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশের অগ্রগতি এখন দৃশ্যমান। ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারেও দু’দেশের কাজ করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।
আইপিইউ ও সিপিএ সম্মেলন সফলভাবে সম্পন্ন করায় বাংলাদেশ সংসদের প্রশংসা করেন তিনি।
ট্রান ভ্যান খোয়া বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশ অনুকরণীয় হতে পারে।
এ সময়ে তিনি বাংলাদেশের ধারাবাহিকভাবে জিডিপি ৮ শতাংশ অর্জনের প্রসংশা করেন। বাংলাদেশ এসডিজি অর্জনেও ভালো করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। এসময় রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের জনগণের আতিথেয়তায় মুগ্ধতা প্রকাশ করেন।
জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৯
এসকে/এএ