ঢাকা, রবিবার, ৫ মাঘ ১৪৩১, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

বাসে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়-যাত্রী হয়রানি বন্ধের দাবি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৪৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২, ২০১৯
বাসে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়-যাত্রী হয়রানি বন্ধের দাবি মানববন্ধনে বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা, ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: রাজধানীতে গেট লক বাসের চাহিদা বেশি। এ সুযোগে গেট লক না করে যাত্রী তুলে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে এসব বাস কোম্পানি। এভাবে বাড়তি ভাড়া আদায় করে বাস মালিকরা বিভিন্নভাবে যাত্রীদের হয়রানি করে আসছেন। বাসে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও যাত্রী হয়রানি বন্ধের দাবি জানিয়েছে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা)।

শনিবার (০২ নভেম্বর) সকালে শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে ‘আদায় করা অতিরিক্ত ভাড়াই চাঁদার টাকার উৎস; বাসে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও যাত্রী হয়রানি বন্ধ করো’ স্লোগানের মানববন্ধনে এ দাবি জানায় সংগঠনটি।

পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন পবাসহ সুবন্ধন সামাজিক কল্যাণ সংগঠন, কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসর, গ্রিন ফোর্স, পরিবেশ আন্দোলন মঞ্চ, বিসিএইচআরডি এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।

বক্তারা বলেন, সড়ক পরিবহন-২০১৮ আইন বাস্তবায়ন করার জন্য পরিবেশ বাচাঁও আন্দোলনের (পবা) পক্ষ থেকে অভিনন্দন। এরই মধ্যে মাঠপর্যায়ে কিছু কিছু প্রস্তুতি আমরা দেখতে পাচ্ছি। যেমন সড়কে নির্বিঘ্নে চলাচলের লক্ষ্যে জনগণের জন্য ট্রাফিক আইন মেনে চলার বিধান করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে আইন অমান্য করা হলে জরিমানা করা হবে। কিন্তু ঢাকা শহরের কোথাও স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক সিগনাল নেই। অবৈধ পার্কিংয়ের জন্য পাঁচ হাজার টাকা জরিমানার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, নগরীর বাণিজ্যিক ভবনের পার্কিংয়ের জায়গাগুলো বাণিজ্যিক উদ্দেশে ব্যবহার করা হয়। অন্যদিকে, জেব্রা ক্রসিং, পদচারী-সেতু, পাতালপথসহ অন্যান্য নির্ধারিত স্থান ব্যাতিত যত্রতত্র রাস্তা পারাপারের জন্য পথচারীকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ধরা হয়েছে।  কিন্তু পারাপারের জন্য যথেষ্ট জেব্রা ক্রসিংয়ের সুবিধা নেই। এছাড়া অবকাঠামো বাস্তবায়নের জন্য আইনের অন্যান্য বিষয়গুলো মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়ন করা অত্যন্ত জরুরি। এলক্ষ্যে বিআরটিএ, ডিএমপি, উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, রাজউক, সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সব ডিপার্টমেন্টের সমন্বয়ে আইনগুলো সম্পর্কে জনগণ, চালক, মালিকসহ সবাইকে সচেতন করার লক্ষ্যে মিডিয়াসহ বিভিন্নভাবে ব্যাপক প্রচার চালাতে হবে।

বক্তারা আরও বলেন, প্রতিটি রুটে পিক ও অফ-পিক সময়ে শর্ত অনুসারে পর্যাপ্ত পরিমাণে বড় বড় বাস চলাচল নিশ্চিত করা জরুরি। রাস্তায় স্টপেজ ছাড়া যাত্রী ওঠানো-নামানো ও বেপরোয়াভাবে বাস চালানো কমাতে চালকদের বেতন ট্রিপভিত্তিক না করে মাসিক সিস্টেমের করে দিতে হবে। বাসচালক ও  নির্দিষ্ট কোম্পানির হাতে বাসের দায়িত্ব দিলে যাত্রীসেবার মান কমবে, পাশাপাশি ভাড়া বাড়বে, সড়কে নৈরাজ্য আরও বাড়বে।

পবার চেয়ারম্যান আবু নাসের খানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আবদুস সোবহান, পরিবেশ আন্দোলন মঞ্চের সভাপতি আমির হাসান, সদস্য জিএম রুস্তম খান, সুবন্ধন সামাজিক সংগঠনের সভাপতি মো. হাবিবুর রহমান, সহ-সভাপতি মো. ফারুক হুসাইন, খেলাঘরের সাধারণ সম্পাদক রুনু আলী, নাসফের সদস্য ক্যামেলিয়া চৌধুরী, সমাজসেবক মো. সেলিম, বিসিএইচআরডির সভাপতি মাহাবুব হক, গ্রিন ফোর্সের সদস্য দ্যুলোক নাঈম, নাহিদ রায়হান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০১৯
এমএমআই/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।