ঢাকা, রবিবার, ৫ মাঘ ১৪৩১, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

নাটোরে বিজয় ফুল উৎসব

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩, ২০১৯
নাটোরে বিজয় ফুল উৎসব

নাটোর: নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা উপলব্ধি এবং সংগ্রামী ইতিহাস জানানোর উদ্দেশ্যে নাটোরে উৎসব মুখর পরিবেশে বিজয় ফুল তৈরি প্রতিযোগিতা ও বিজয় ফুল উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার  (০২ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নাটোর শংকর গোবিন্দ চৌধুরী স্টেডিয়ামে এই বিজয় ফুল প্রতিযোগিতা উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল।

জেলা প্রশাসক শাহরিয়াজের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলার সাতটি উপজেলার বিজয়ী শিক্ষার্থীরা তিনটি গ্রুপে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে।

 

এসময় পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা, জজ কোর্টের পিপি সিরাজুল ইসলাম, জেলা শিক্ষা অফিসার রমজান আলী আকন্দ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাহাঙ্গীর হোসেনসহ
জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতারা ও শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতার বিজয়ী শিক্ষার্থীরা উপজেলা পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে।

প্রতিযোগিতায় সবুজ জমিনে সাদা রঙের ম্যাটেরিয়ালে ছয়টি পাঁপড়ি ও একটি কলি সহযোগে বিজয় ফুল শাপলা তৈরি করে শিক্ষার্থীরা। ফুলের ছয়টি পাঁপড়ি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছয় দফা এবং একটি কলি তার ৭ মার্চের ভাষণকে স্মরণ করাবে।  

ফুল তৈরিতে ব্যবহার করা হয় কাগজ, কাপড় ও প্লাস্টিকশিট। শিশু থেকে পঞ্চম, ষষ্ঠ থেকে অষ্টম এবং নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী-এ তিনটি গ্রুপে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে।

বিজয় ফুল উৎসবে বিজয় ফুল তৈরি ছাড়াও একক ইভেন্টে গল্প রচনা, কবিতা রচনা, কবিতা আবৃত্তি, চিত্রাংকন, একক অভিনয় ও চলচ্চিত্র নির্মাণ এবং দলগত ইভেন্টে জাতীয় সংগীত ও দেশাত্মাবোধক সংগীত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রতিযোগিতা শেষে দুপুরের দিকে অতিথিরা বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার ও সনদ প্রদান করেন। স্টেডিয়ামে বিপুল সংখ্যক দর্শক এ প্রতিযোগিতা উপভোগ করেন। তিনটি গ্রুপের বিজয়ীরা পরবর্তীতে বিভাগীয় পর্যায়ে প্রতিযোগিতা শেষে জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে।

নাটোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আশরাফুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, প্রতিযোগিতার প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ের ফুলগুলো আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিটি শ্রেণী কক্ষের সামনে সাজিয়ে রাখা হবে এবং উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের প্রতিযোগিতার ফুলগুলো সংরক্ষণ করে আগামী বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে মঞ্চের সাজসজ্জ্বার কাজে ব্যবহার করা হবে।  

শিশু-কিশোর সমাবেশে অংশগ্রহণকারীরা তাদের পোষাক বা ইউনিফর্মে বিজয় ফুল পরিধান করবে। আগ্রহী ক্রেতা পাওয়া গেলে ফুল বিক্রি করে প্রাপ্ত অর্থ অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা ও বিশেষ শিশুদের কল্যাণে ব্যয় করা যাবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০১৯
এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।