শনিবার (২ নভেম্বর) রাজধানীর হোটেল রেডিসন ব্লু’র ওয়াটার গার্ডেনে ডিজিটাল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বাংলালিংক’র উদ্যোগে ‘বাংলালিংক ইনোভেটর্স ৩.০!’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের সমাপনী আয়োজনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্পিকার। জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয় ৷
যে কোনো জাতির মূল সামর্থ্য যুবশক্তি।
যুব সমাজকে যথাযথ জনশক্তিতে পরিণত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিভিন্ন পদক্ষেপের প্রশংসা করে স্পিকার বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আজ উন্নয়নের মহাসড়কে বাংলাদেশ। বর্তমান সরকার দেশের ৪৪৮টি উপজেলার দুই হাজার ৬০০ ইউনিয়নে ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্ক স্থাপন করেছে। এতে গ্রামে গ্রামে পৌঁছে গেছে দ্রুতগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট। এখন তৃণমূলের মানুষও ডিজিটাল সেবার আওতায়। তথ্যপ্রযুক্তির যুগোপযোগী উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের মধ্য দিয়ে যুবসমাজকে যথাযথ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আরও দক্ষ করে গড়ে তুলতে সরকার বদ্ধপরিকর। সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন করপোরেট প্রতিষ্ঠান তরুণ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এরই সূত্রে টেলিকম প্রতিষ্ঠান বাংলালিংকের উদ্যোগে ‘বাংলালিংক ইনোভেটার্স ৩.০!’ আয়োজনের প্রশংসা করেন শিরীন শারমিন। প্রতিযোগিতাপূর্ণ এ ধরনের একটি অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য বাংলালিংককে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, এমন সৃজনশীল আয়োজন নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে। এ ধরনের আয়োজন নতুন প্রজন্মকে সৃষ্টিশীল কাজে অনুপ্রাণিত করবে।
প্রতিযোগিতামূলক এ অনুষ্ঠানে ৫টি দল নিজেদের প্রেজেন্টেশন পরিবেশন করে। এতে টিম ‘সিলভার লাইনিং’ চ্যাম্পিয়ন, টিম ‘লাস্ট মিনিট’ প্রথম রানার্সআপ ও টিম ‘থ্রি অ্যান্ড এ হাফ ম্যান’ দ্বিতীয় রানার্স আপ হয়। স্পিকার বিজয়ী দলসহ সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান।
বাংলালিংকের অ্যাক্টিং চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার তাইমুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।
এছাড়া বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস’র উপাচার্য মেজর জেনারেল মো. এমদাদ উল বারী, বাংলালিংক কমিউনিকেশনস’র কর্মকর্তা ও গণমাধ্যমকর্মীরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এতে ভোট অব থ্যাংকস প্রদান করেন বাংলালিংকের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার এরিক আস।
২০১৭ সাল থেকে উদ্ভাবনী ক্ষমতাসম্পন্ন তরুণদের নতুন পরিকল্পনা, নতুন উদ্যোগ ও নতুন সৃষ্টিতে উৎসাহ দিতে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আসছে বাংলালিংক। তৃতীয়বারের মতো এবারের আয়োজনে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় ১৭ হাজার প্রতিযোগী অংশ নেয়। কয়েকটি ধাপে সবচেয়ে উদ্ভাবনীক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিযোগীদের বাছাই করা হয়। সর্বশেষ ৫টি দল গ্রান্ড ফিনালেতে নিজেদের ডিজিটাল ব্যবসা পরিকল্পনা উপস্থাপন করে।
প্রতিযোগিতায় বিজয়ী দল পুরস্কার হিসেব পাবে নেদারল্যান্ডের অ্যামস্টারডামে বাংলালিংকের সত্ত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠান ভিওনের প্রধান কার্যালয় পরিদর্শন ও বাংলালিংকের ‘স্ট্র্যাটেজিক অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রোগ্রামে অ্যাসেসমেন্ট সেন্টার’-এ যোগদানের সুযোগ। প্রথম ও দ্বিতীয় রানার আপ দলও এ প্রোগ্রামে যোগদানের সুযোগসহ পাবে আকর্ষণীয় পুরস্কার। এছাড়া সেরা ৫ দলের প্রত্যেক সদস্য সরাসরি বাংলালিংকের অ্যাডভান্সড ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রামে (এআইপি) যোগদান ও ‘লার্ন ফ্রম স্টার্টআপস’ এবং ‘ক্যাম্পাস টু কর্পোরেট প্রোগ্রামস’-এ অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৫০ ঘণ্টা, ০৩ নভেম্বর, ২০১৯
এসকে/এইচজে