রাজশাহী: রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ভেতরের গাছ-পালার চূড়ায় আশ্রয় নিয়েছে অসংখ্য শামুকখোল পাখি। হাসপাতাল চত্বর পাখিদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়।
সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে পাখির বাসাসহ বিশালাকৃতির একটি কড়ই গাছের ডাল কাটা হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ বলছে, গাছে বাসা বেঁধে থাকা শামুকখোল পাখিগুলোর বিষ্ঠা হাসপাতালে সেবা নিতে আসা মানুষের গায়ে পড়ছে। পাখিগুলো যেন গাছে না বসে এজন্য ডাল কাটা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালের ভেতরের গাছ-পালার চূড়ায় আশ্রয় নিয়েছে অসংখ্য পাখি। এদের অধিকাংশই শামুক খোল, পানকৌড়ি ও নিশি বক প্রজাতির পাখি। রাত-দিন তাদের কিচিরমিচির শব্দে মুখরিত হাসপাতাল প্রাঙ্গণ। কেবল রামেক হাসপাতালই নয়, রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ ক্যাম্পাস, ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন অ্যান্ড অ্যালাইড সায়েন্সেস এলাকায়ও পাখিরা বাসা বেঁধেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার (২৭ ডিসেম্বর) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে পাখির বাসাসহ একটি কড়ই গাছ কাটতে শুরু করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কর্তব্যরত আনসার সদস্যদের আদেশ দিয়ে এ গাছ কাটাচ্ছিলেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামিম ইয়াজদিন। সেখানে গণমাধ্যমকর্মীরা ছবি তুলতে গেলে বাধা দেন আনসার সদস্যরা। এ সময় তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। একপর্যায়ে পরিচালকের নির্দেশে আনসার সদস্যরা সেখান থেকে সরে যায় এবং গাছের ডাল কাটা বন্ধ হয়।
জানতে চাইলে রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামিম ইয়াজদিন বাংলানিউজকে বলেন, পাখির বিষ্ঠার কারণে হাসপাতালের রোগীদের সমস্যা হচ্ছে। রোগীদের শরীরে পাখির বিষ্ঠা পড়ছে। হাসপাতাল কখনও পাখির অভয়ারণ্য হতে পারে না। হাসপাতালের শৌচাগারের সামনে আরও একটি গাছের ডাল কাটা হবে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০২০
এসএস/এমআরএ