নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় সজীব গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান সেজান জুস কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার ২০ ঘণ্টা পর কারখানার ভেতর থেকে ৪৯টি মরদেহ বের করে ফায়ার সার্ভিসের ৫টি অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে।
এর আগে, তিনজনের নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত হওয়া যায়।
শুক্রবার (৯ জুলাই) বিকেল ৪টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ভেতরে আরো মরাদেহ আছে কিনা তা খোঁজ করছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
দীর্ঘ সময়ে আগুনে পুড়ে নিহতদের দেহের শুধুমাত্র হাড় ও কংকাল ছাড়া বাকি সব পুড়ে গেছে। মরদেহগুলোর ছিল শুধু হাড়। মরদেহ উদ্ধার করতে গিয়ে আঁতকে উঠেছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। অনেকে কেঁদেছেন এ মরদেহ দেখে। তবে কারখানার ভেতর থেকেই মরদেহগুলো ব্যাগে করে বের করা হয়। বাইরেও কাউকে দেখতে দেয়া হয়নি মরদেহের এ চিত্র।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জানান, ইতোমধ্যে ৪৯টি মরদেহ ফায়ার সার্ভিসের ৫টি অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়েছে। সেখানে পরিচয় শনাক্তের পর মরদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার উপজেলার কর্ণগোপ এলাকায় ওই কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ডেমরা, কাঞ্চনসহ ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিট আগুন নেভানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আগুন প্রায় নিয়ন্ত্রণে আসলেও ৬ তলায় আগুন এখনো নেভেনি।
আরও পড়ুন>>
>>>রূপগঞ্জে অগ্নিকাণ্ড: ৪৯ মরদেহ ঢামেক মর্গে
>>>সেজানের পোড়া কারখানা থেকে বের হলো ৫২ মরদেহ
>>>নিয়ন্ত্রণে আসেনি সেজান জুসের কারখানার আগুন, নিহত ৩
>>সেজান জুসের কারখানায় আগুন: কয়েকজন ঢামেকে ভর্তি
>>>রূপগঞ্জে সেজান জুসের কারখানায় আগুন, নিহত ২
>>>১৫ ঘণ্টাও নেভেনি আগুন, ফায়ার সার্ভিসের ক্লান্তিহীন চেষ্টা
>>>জুস কারখানায় অতিরিক্ত দাহ্য পদার্থ থাকায় নিয়ন্ত্রণে আসছে না আগুন
>>>জীবিত নেই কেউ, প্রিয়জনের খবর পেতে স্বজনদের অপেক্ষা
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, জুলাই ৯, ২০২১
কেএআর