ঢাকা, শনিবার, ৮ ফাল্গুন ১৪৩১, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২২ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

টোকিওতে বঙ্গবন্ধুর শাহাদাত বার্ষিকী পালিত

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০২১
টোকিওতে বঙ্গবন্ধুর শাহাদাত বার্ষিকী পালিত

ঢাকা: বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করেছে টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাস।

গভীর শ্রদ্ধা আর যথাযথ মর্যাদায় রোববার (১৫ আগস্ট) সকালে দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করার মধ্যে দিয়ে শোক দিবসের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।

জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের সঙ্গে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করেন জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ।
 
এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল।

দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এবং রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ। এসময় বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সব শহীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

করোনা মহামারি সংক্রান্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনুষ্ঠানের পরবর্তী অংশে অনলাইন আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনার শুরুতে বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের সব শহীদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মোনাজাতে দূতাবাসের সব কর্মকর্তা–কর্মচারী এবং প্রবাসী বাংলাদেশিরা অংশ নেন। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর পাঠানো বাণী এ অনুষ্ঠানে পাঠ করা হয়।

যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, দেশি-বিদেশি অপশক্তি ও একাত্তরের পরাজিত শক্তি, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায়নি এবং যারা বঙ্গবন্ধুকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়েছিল, তারাই ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের মাধ্যমেই বিশ্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশের উন্নয়নে সব সময় পাশে থাকায় প্রতিমন্ত্রী জাপান সরকার ও জনগণের প্রতি ধন্যবাদ জানান। কোভিড-১৯ পরিস্থিতির মধ্যেও ভার্চ্যুয়াল প্লাটফর্মে এ শোকসভা আয়োজন করায় এবং এমন আয়োজনে কথা বলার সুযোগ করে দেওয়ায় তিনি বাংলাদেশ দূতাবাস, টোকিওকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।

রাষ্ট্রদূত আহমদ বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলেন বাঙালি জাতির মুক্তির স্বপ্নদ্রষ্টা, তিনিই বাঙালি জাতিকে এনে দিয়েছেন স্বাধীনতা ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। আজ বঙ্গবন্ধু আমাদের মাঝে নেই, কিন্তু তার স্বপ্ন, আদর্শ ও নির্দেশনা আজও আমাদের সঠিক পথ দেখায়। আর তার দেখানো পথ ধরেই তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মুক্তির পথে এগিয়ে চলেছেন। ইনশাল্লাহ প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ‘রূপকল্প-২০২১’ এবং ‘রূপকল্প-২০৪১’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে তার গতিশীল নেতৃত্বে আমরা বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্র তথা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলবোই।

আলোচনা পর্বে প্রবাসী নেতারা জাতীয় শোক দিবসের তাৎপর্য বিশ্লেষণ করেন এবং এ শোককে শক্তিতে রূপান্তর করে আরো উদ্যম ও দেশপ্রেম নিয়ে দেশের উন্নয়নে অধিকতর অবদান রাখার অঙ্গীকার করেন। এছাড়া বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবন-কর্ম নিয়ে ভিডিও তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০২১
টি আর/এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।