নীলফামারী: বিয়ের দাবিতে বিজিবি সদস্যের বাড়িতে দিনভর অবস্থান করেছেন সৈয়দপুর সরকারি কলেজের স্নাতক প্রথম বর্ষের এক ছাত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে সৈয়দপুর উপজেলার পশ্চিম সীমান্তে নীলফামারী সদর উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের ছোট বেড়াকুঠি গ্রামে।
অবস্থানকালে শত শত কৌতুহলী মানুষ ঘটনাস্থলে ভিড় জমান। বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) অবস্থানকারী কলেজ ছাত্রী বাংলানিউজকে জানান, ছোট বেড়াকুঠি গ্রামের দুলাল হোসেন ও মোর্শেদার বড় ছেলে বিজিবি সদস্য আরিফ হোসেনের সঙ্গে মোবাইলের মাধ্যমে পরিচয়। বিগত ২০১৭ সাল থেকে এই পরিচয়ের সূত্র ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে আরিফ বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বাসা ভাড়া নিয়ে একসঙ্গে বসবাস করেন। বিজিবিতে চাকরি হওয়ার পরও সে ছুটি নিয়ে এসে আমার সঙ্গে ভাড়া বাসায় থেকেছে। গত ২৮ ডিসেম্বর আমাকে একাকি ফেলে রেখে আরিফ পালিয়ে যান। কারণ সেদিন থেকে তার মোবইল বন্ধ। তাছাড়া আরিফ সব ধরনের যোগাযোগও বন্ধ রেখেছে। এমতাবস্থায় খবর পাই আরিফ পরিবারের দোহাই দিয়ে অন্যত্র বিয়ে করতে যাচ্ছেন।
যৌতুক না দেয়ায় সম্পর্ক অস্বীকার করে এমন প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছেন আরিফ। এ কারণে তাকে ধরতে এবং বিচারের আশায় এমন পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছি। ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় আমাদের সম্পর্কের নানা প্রমাণাদিসহ আরিফের বাবা-মা, বড় ভাই, স্থানীয় মেম্বার ও ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কাছে এসেও তাদের কোনো সহযোগীতা পাইনি। বরং তারা উল্টো ৮-১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে এই সম্পর্ক মেনে নিতে। নয়তো ছেলেকে যেখানে বিয়ে ঠিক হয়েছে সেখানেই বিয়ে দিবেন। আমার বাবা সামান্য একজন চা বিক্রেতা। আমার পক্ষে তাদের যৌতুকের চাহিদা মেটানো সম্ভব নয়। টাকা নিয়েই যদি বিয়ে করবে তাহলে আমার পরিবারের অবস্থা বিষয়ে সব জেনেও কেন সে আমার জীবনটা নষ্ট করলো? আমি এর বিচার চাই।
মেয়েটি আরও জানায়, দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কারও সহযোগীতা না পেয়ে অবশেষে গত ১০ জানুয়ারি সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ করেও কোনো সুরাহা পাইনি। তাই নিরূপায় হয়ে এপথ অবলম্বন করেছি। এতেও যদি বিচার না পাই তাহলে আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০২২
এনটি