ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

রংপুরে মা-মেয়েকে গাছে বেঁধে নির্যাতন, গ্রেফতার ৬

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০২২
রংপুরে মা-মেয়েকে গাছে বেঁধে নির্যাতন, গ্রেফতার ৬ গ্রেফতার ৬ আসামি

রংপুর: রংপুরের পীরগাছায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মা ও মেয়েকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।  

শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) দিনগত রাত থেকে শনিবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতাররা হলেন- উপজেলার পারুল ইউনিয়নের অনন্দি ধনিরাম গ্রামের মৃত গোফ্ফার মিয়ার ছেলে জিয়াউর রহমান ওরফে জিয়ারু মিয়া (৩৫), শামসুল হকের স্ত্রী রুপভান (৫৫), নুর হোসেনের স্ত্রী রাহেনা বেগম (৩০), রুবেল মিয়ার স্ত্রী রুমানা বেগম (২৫), মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী দুলালী বেগম (৩০) ও মিঠাপুকুর উপজেলার শালাইপুর (নোয়াখালীপাড়া) গ্রামের নুর ইসলামের স্ত্রী জোৎস্না বেগম (৩৮)।

এর আগে বুধবার (১২ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার পারুল ইউনিয়নের অনন্দি ধনিরাম গ্রামে মা ও মেয়েকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। সেই নির্যাতনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়।

নির্যাতনের শিকার গোলাপী বেগম ও রাবেয়া বেগম ওই গ্রামের শাজাহান মিয়ার স্ত্রী ও মেয়ে।

মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, অনন্দি ধনিরাম গ্রামের সুজা মিয়ার ছেলে শাজাহান মিয়ার সঙ্গে প্রতিবেশী গোফ্ফার মিয়ার ছেলে জিয়ারু মিয়ার জমি-সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। বুধবার (১২ জানুয়ারি) সকালে জিয়ারু ও তার লোকজন শাজাহানের জমি দখল করে গাছ ও রাস্তা কাটতে থাকেন। এ সময় শাজাহান ও তার পরিবারের লোকজন বাধা দেন। এতে জিয়ারু ও তার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে শাজাহানের স্ত্রী গোলাপী বেগম ও মেয়ে রাবেয়া বেগমকে গাছে বেঁধে নির্যাতন চালান। পরে স্থানীয়রা ৯৯৯-এ ফোন দিলে পীরগাছা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। তারা এখনও সেখানে চিকিৎসাধীন।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) শাজাহান বাদী হয়ে পীরগাছা থানায় ১৮ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন।

রংপুরের এএসপি (সি সার্কেল) আশরাফুল আলম বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। অভিযান চালিয়ে ছয়জনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০২২
এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।