ঢাকা, রবিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সরকারি খাল থেকে বালু উত্তোলন, হুমকিতে স্থাপনা-ফসলি জমি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৪ ঘণ্টা, জুন ২, ২০২২
সরকারি খাল থেকে বালু উত্তোলন, হুমকিতে স্থাপনা-ফসলি জমি

চাঁদপুর: চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলার ১০নম্বর পূর্ব ফতেপুর ইউনিয়নের সাহাবাজকান্দি গ্রামে সরকারি খাল থেকে বালু উত্তোলন করছে স্থানীয় সংঘবদ্ধ একটি মহল।  

ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের কারণে হুমকির মুখে পড়েছে ঘর বাড়ি ও ফসলের জমি।

অবধৈভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও), সহকারি কমিশনারের (ভূমি) কাছে ৩০ মে এলাকাবাসীর পক্ষে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন স্থানীয় নারী ইউপি সদস্য জোহরা বেগম।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার সাহাবাজকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশেই ওই গ্রামের রতন মীরের ছেলে রাকিব মীরের নেতৃত্বে এই ড্রেজার বসানো হয়েছে। সরকারি খালের পাড়ে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে খাল থেকে বালু কাটা হচ্ছে। ড্রেজারের মালিক রাঢ়ীকান্দি গ্রামের কাউছারসহ গত প্রায় দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে ওই জায়গা থেকে বালু কাটা হচ্ছে। স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের সমর্থন থাকায় বালু খেকোদের ভয়ে কিছু বলতে পারছে এলাকাবাসী। একাধিকবার ভূমি অফিস কর্তৃক অভিযান চালানো হলেও তাদের দৌড়াত্ম্য কমেনি। ড্রেজার দিয়ে মাটি কাটার কারণে শব্দ দূষণে স্কুলের শিশুদের মাথাব্যথা ও পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।

ইউপি সদস্য জোহরা বেগম বলেন, তাদের ড্রেজারের শব্দে আশপাশের মানুষের বসতঘরে মানুষ থাকতে পারছে না। প্রতিনিয়তই পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে। এমনকি ঢাকা-মতলব আঞ্চলিক মহসড়কের ভেতর দিয়ে ড্রেজারের পাইপ নেওয়া হয়েছে। স্থানীয় এলাকার মানুষকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে খালে ড্রেজার বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে লাখ লাখ টাকা লুটে নিচ্ছে চক্রটি। এতে করে মানুষের ঘর বাড়ি ও কৃষি জমি বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে এবং অতিরিক্ত শব্দ দূষণের কারণে মানুষের কানে ক্ষতি হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন অনেকে।

অভিযুক্ত রাকিব মীর বলেন, সকলের সম্মতিক্রমে স্কুলের জায়গা ভরাট করার জন্য ড্রেজার বসানো হয়েছে। কিন্তু সরেজমিনে গিয়ে স্কুলের জায়গা ভরাট করতে দেখা যায়নি। বরং অন্যত্র রবিউল আউয়াল পুকুর ভরাটসহ আরো কয়েকটি ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গায় বালু বিক্রি করতে দেখা গেছে।

ড্রেজার মালিক কাউছারকে জিজ্ঞেস করলে তিনি এ বিষয়ে সঠিক উত্তর দিতে পারেননি।

মতলব উত্তর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. হেদায়েত উল্যাহ্ বাংলানিউজকে বলেন, অভিযোগ দেওয়া হলেও এখন পর্যন্ত আমি পাইনি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫২ ঘণ্টা, জুন ০২, ২০২২
এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।