ঢাকা, সোমবার, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ১০ রবিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

অধিকার সম্পাদকের সাজা ও সাইবার আইনের বিরোধিতা মান্নার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৩
অধিকার সম্পাদকের সাজা ও সাইবার আইনের বিরোধিতা মান্নার

ঢাকা: মানবাধিকার সংস্থা ‘অধিকার’–এর সম্পাদক আদিলুর রহমান এবং পরিচালক এলানের ২ বছরের কারাদণ্ড এবং কারাগারে পাঠানো বাংলাদেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতায় আরেকটি নগ্ন হস্তক্ষেপ বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।  

তিনি বলেন, এই রায়ে আরেকবার প্রমাণিত হলো, সরকার দেশের বিচার ব্যবস্থাকে পুরোপুরি ধ্বংস করেছে।

 

বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দলের এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন তিনি।

মান্না বলেন, মানবাধিকার বলে এই দেশে কিছু নেই। সরকার দেশের জনগণের মানবাধিকার হরণ করার পাশাপাশি মানবাধিকার কর্মীদের ওপর দমনপীড়ন চালাচ্ছে। তারা মামলা, হামলা, জেল, জরিমানা, গুম, বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে রাজনৈতিক কর্মী, সাংবাদিক, অধিকার কর্মীদের কণ্ঠ রোধ করার চেষ্টা করছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজকে অধিকারের দুই কর্মীর বিরুদ্ধে ফরমায়েশি রায় দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হলো। এটি বাংলাদেশে বিচারিক হয়রানির আরেকটি উদাহরণ।

গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ নেতা মান্না বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, মানবাধিকার কর্মী, সাংবাদিক এমনকি ড. ইউনূসের মতো শান্তিতে নোবেল বিজয়ীর বিরুদ্ধে বিচারিক হয়রানি শুরু করেছে। তারা বিচার ব্যবস্থাকে ব্যবহার করে নির্বাচনের আগে সকল বিরোধী শক্তিকে কারাগারে পাঠানোর পাঁয়তারা করছে। এই অবৈধ সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশের জনগণের নাগরিক এবং সাংবিধানিক অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব না। তিনি অবিলম্বে আদিলুর রহমান এবং নাসির উদ্দিন এলানের মুক্তি দাবি করেন।

সাইবার নিরাপত্তা বিল পাসের প্রতিবাদ:
পৃথক বিবৃতিতে ‘পরোয়ানা ছাড়া তল্লাশি এমনকি গ্রেফতারের বিধান রেখে’ সাইবার নিরাপত্তা বিল পাসের প্রতিবাদ জানিয়েছেন ক্ষমতাসীন সরকারের আমলে গুম হওয়া এবং দুই বছর কারাভোগ করা ডাকসুর সাবেক দুইবার নির্বাচিত ভিপি মান্না। মান্না বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কেবল নাম পরিবর্তন করে নিবর্তনমূলক আরেকটি আইন পাস করে সরকার দেশের জনগণ এবং আন্তর্জাতিক মহলকে ধোঁকা দিতে চাচ্ছে। জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যে দুটি ধারা বাতিলের কথা বলেছিল, সেই দুটি ধারাও বাতিল করা হয়নি। উপরন্তু এই আইনের ৪২ ধারায় পুলিশকে বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তারের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মত সাইবার নিরাপত্তা আইনও জনগণের স্বাধীন মত প্রকাশের স্বাধীনতার উপর ফ্যাসিবাদী সরকারের চূড়ান্ত হস্তক্ষেপ।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৩
এমকে/নিউজ ডেস্ক

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।