ঢাকা, সোমবার, ২১ আশ্বিন ১৪৩২, ০৬ অক্টোবর ২০২৫, ১৩ রবিউস সানি ১৪৪৭

রাজনীতি

আমার কথা গণমাধ্যম প্রচার করতে পারত না: তারেক রহমান

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১:২১, অক্টোবর ৬, ২০২৫
আমার কথা গণমাধ্যম প্রচার করতে পারত না: তারেক রহমান তারেক রহমান

বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের শাসনামলে নানা সময় নানা বিষয়ে কথা বলেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। কিন্তু সেগুলো পূর্ণাঙ্গরূপে বাংলাদেশের মানুষ শুনতে পারত না, পড়তে পারত না।

কেননা, তার কথাগুলো দেশের গণমাধ্যমগুলো হয়ত ছাপাতে চাইতো। কিন্তু ফ্যাসিস্ট সরকারের কারণে তারা সেটি করতে পারত না।  

বিবিসি বাংলায় দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেছেন তারেক রহমান। তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল- আমরা এমন একটা সময় আপনার সঙ্গে কথা বলছি যখন বাংলাদেশ ইতিহাসে একটা গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে বললে ভুল বলা হবে না। ২০২৪ সালে একটি ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের দেড় দশকের শাসনের অবসান হয়েছে। আর কয়েক মাসের মধ্যেই বাংলাদেশ একটি নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে আপনি আপনার অনেক দলীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন, কথা বলেছেন, নিয়মিতই কথা বলে যাচ্ছেন। কিন্তু গণমাধ্যমের সঙ্গে আপনি এই দীর্ঘ সময় কথা বলেননি। এতদিন ধরে আপনি কথা বলেননি কেন?

উত্তরে তারেক রহমান বলেন, ব্যাপারটা বোধহয় এ রকম না, ব্যাপারটা বোধহয় একটু ভিন্ন। আসলে আমি কথা ঠিকই বলেছি। আমি দীর্ঘ ১৭ বছর এখানে আছি এই দেশে, প্রবাস জীবনে, তবে আমার ওপরে যখন দলের দায়িত্ব এসে পড়েছে তারপর থেকে আমি গ্রামে-গঞ্জে আমার নেতাকর্মীসহ তাদের সঙ্গে, বিভিন্ন পর্যায়ে সাধারণ মানুষ যখন যেভাবে অংশগ্রহণ করেছে আমি সবার সঙ্গে কথা বলেছি।

আপনারা নিশ্চয়ই জানেন বিগত স্বৈরাচার সরকারের সময় আদালত থেকে রীতিমতো একটা আদেশ দিয়ে আমার কথা বলার অধিকার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। আমি যদি গণমাধ্যমে কিছু বলতে চাইতাম, হয়তো গণমাধ্যমের ইচ্ছা ছিল ছাপানোর, গণমাধ্যম সেটি ছাপাতে পারতো না।

আমি একবার প্রেসক্লাবে কথা বলেছিলাম। পরের দিন দেখলাম যে প্রেসক্লাবে তখনকার যারা সদস্য ছিলেন বা কমিটি ছিল, তারা একটি একটি সভা করে সিদ্ধান্ত নেয় যে, তারা তখন আমাকে আইনের দৃষ্টিতে ফেরারি বলা হয়েছিল যে, সে রকম কোনো ব্যক্তিকে তারা প্রেসক্লাবে কথা বলতে দেবে না। এভাবে তারা চেষ্টা করেছিল আমার কথা বন্ধ করে রাখতে।

আমি কথা বলেছি, সামাজিক মাধ্যমসহ বিভিন্ন পন্থায় আমি পৌঁছানোর চেষ্টা করেছি, আমি ইনশাল্লাহ পৌঁছেছি মানুষের কাছে। কাজেই গণমাধ্যমে যে কথা বলিনি তা না। আমি কথা বলেছি হয়তো আপনারা তখন কথা শুনতে পারেননি। ইচ্ছা থাকলেও ছাপাতে পারেননি হয়তো প্রচার করতে পারেননি। কিন্তু আমি বলেছি, আমি থেমে থাকিনি।

ওই সাক্ষাৎকারে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, তিনি আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় দেশের জনগণের সঙ্গে, জনগণের মাঝেই থাকবেন এবং থাকতে চান।  

৬ অক্টোবর সম্প্রচারিত এই সাক্ষাৎকারের এক প্রশ্নের জবাবে তারেক রহমান বলেন, ফিজিক্যালি (শারীরিকভাবে) আমি এই দেশে (ব্রিটেনে) রয়ে গেলেও মন-মানসিকতার দিক থেকে আমি বিগত ১৭ বছর ধরে বাংলাদেশেই আছি। কিছু সংগত কারণে হয়তো ফেরাটা হয়ে ওঠেনি এখনো। তবে সময় তো চলে এসেছে মনে হয়, ইনশাল্লাহ দ্রুতই ফিরে আসব।

বিবিসি তার কাছে দেশে ফেরার নির্দিষ্ট দিন-তারিখ জানতে চাইলে তিনি সুনির্দিষ্ট কোনো সময় উল্লেখ না করে সংক্ষেপে বলেন, ‘দ্রুতই’।

নির্বাচনের আগেই দেশে ফেরার পরিকল্পনা আছে কি না—এমন প্রশ্নে তারেক রহমান বলেন, ‘রাজনীতি যখন করি, একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে বলি—নির্বাচনের সঙ্গে রাজনৈতিক দল এবং রাজনৈতিক কর্মীর ওতপ্রোত সম্পর্ক। কাজেই যেখানে জনগণের প্রত্যাশিত একটি নির্বাচন হবে, সেই নির্বাচন থেকে কীভাবে দূরে থাকব? আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে, ইচ্ছা থাকবে, আগ্রহ থাকবে সেই প্রত্যাশিত নির্বাচন যখন অনুষ্ঠিত হবে, তখন জনগণের সঙ্গে, জনগণের মাঝেই থাকব। ’

এসবিডব্লিউ/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

রাজনীতি এর সর্বশেষ