ঢাকা, রবিবার, ১৪ পৌষ ১৪৩১, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

খালেদার ১১ মামলার চার্জ শুনানি ফের পিছিয়ে ২৫ এপ্রিল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫২৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৭
খালেদার ১১ মামলার চার্জ শুনানি ফের পিছিয়ে ২৫ এপ্রিল বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া (ফাইল ফটো)

ঢাকা: বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা রাষ্ট্রদ্রোহসহ ১১ মামলার অভিযোগ (চার্জ) গঠনের শুনানি আবারও পিছিয়ে আগামী ২৫ এপ্রিল পুনর্নির্ধারণ করেছেন আদালত।

ওই ১১টি মামলার মধ্যে রয়েছে- রাষ্ট্রদ্রোহের একটি, দারুস সালাম থানার নাশকতার আটটি ও যাত্রাবাড়ী থানার দু'টি মামলা। এর মধ্যে অবশ্য রাষ্ট্রদ্রোহ ও দারুস সালাম থানার নাশকতার দু'টি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।

খালেদার আইনজীবীদের সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে সোমবার (১০ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লার আদালত শুনানির দিন পিছিয়ে দেন।

খালেদা জিয়া আদালতে হাজির হননি। তার অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে সময় চেয়ে আবেদন জানান আইনজীবীরা। আবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, উচ্চ আদালত তিনটি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেছেন। বাকিগুলোরও স্থগিতাদেশ আবেদন জানানো হয়েছে, যেগুলো শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।  

আবেদন মঞ্জুর করে সবগুলো মামলার চার্জ গঠনের শুনানির দিন আগামী ২৫ এপ্রিল পুনর্নির্ধারণ করেন আদালত।

গত বছরের ২৫ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ড. মোমতাজ উদ্দিন মেহেদী বাদী হয়ে ঢাকা মহানগর হাকিম রাশেদ তালুকদারের আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর ইন্সটিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত আলোচনা সভায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেন, ‘আজকে বলা হয়, এতো লক্ষ শহীদ হয়েছে, এটা নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে'।

ওই দিন খালেদা জিয়া আরো বলেন, ‌‘তিনি (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি। তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা না দিলে মুক্তিযুদ্ধ হতো না’।

এছাড়া ২০১৫ সালে মিরপুরের দারুস সালাম থানা এলাকায় নাশকতার অভিযোগে আটটি মামলা করে পুলিশ। এসব মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আসামি করা হয়।

অন্যদিকে ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি যাত্রাবাড়ী থানায় খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দু’টি মামলা দায়ের করে যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ।

এ দুই মামলায় খালেদা জিয়া ছাড়াও উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, সাবেক যুগ্ম মহাসচিব আমানউল্লাহ আমান, বরকত উল্লাহ বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার মাহবুব হোসেন, শওকত মাহমুদ, বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান সোহেল, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস।

সোমবার এম কে আনোয়ার ও খন্দকার মাহবুব হোসেনের পক্ষেও অসুস্থতার কারণে সময়ের আবেদন জানানো হয়। বাকি আসামিরা আদালতে হাজির ছিলেন।

আসামিপক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, খোরশেদ আলম, মোহসিন মিয়া প্রমুখ।

গত বছর ওই ১১টি মামলায় ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।

অভিযোগপত্র দেওয়ার পর গত বছরের ০৫ এপ্রিল এসব মামলায় আদালতে হাজির হয়ে জামিন নেন খালেদা জিয়া।

বাংলাদেশ সময়: ১১২৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৭
এমআই/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।