মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় নয়াপল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
‘দেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে’ বলে আওয়ামী লীগ নেতাদের দাবির জবাবে রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের সত্ত্বা ও স্বরূপ বরাবরই মিথ্যা দর্শনের ওপর প্রতিষ্ঠিত।
তিনি বলেন, সোহরাওয়ার্দীতে আওয়ামী লীগের জনসভায় ও সোমবার (২১ জানুয়ারি) ভুয়া ভোটের মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে তিনি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট ডাকাতিকে বিষয় এড়িয়ে গেছেন। যা দেখে গণমাধ্যমের কর্মীরা বিস্মিত হওয়ার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মিডিয়াগুলোও রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে।
বিবিসির রিপোর্টে বলা হয়েছে, শনিবারের জনসভায় বহু মানুষের চোখ ছিল-নির্বাচনে কারচুপির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী কী বলেন। কিন্তু, তা নিয়ে তিনি একটি শব্দও উচ্চারণ করেননি। তিনি বলেছেন বর্তমান সরকারের লক্ষ্যই হচ্ছে মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন। দুর্নীতি ও মাদকবিরোধী অভিযানের বিষয়ও কথা বলেছেন তিনি।
মহাভোট ডাকাতির ইস্যুগুলো ধামাচাপা দিতেই এখন প্রধানমন্ত্রী এসব পদ্ধতি অবলম্বন করছেন দাবি করে রিজভী বলেন, মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে, রাতের আধারে ভোট দিয়ে, বিচার বিভাগকে ধ্বংস করে, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে বেআইনি কাজে ব্যবহার করে, বিরোধী দলকে নির্মূল করে, গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করে, খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে কারাগারে রেখে শেখ হাসিনা সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে চান।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে অন্যদর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপিকা সাহিদা রফিক, নজমুল হক নান্নু, বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-দফতর সম্পাদক মুনীর হোসেন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৯
এমএইচ/ওএইচ/