মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) রাজধানীর নয়াপল্টনের যাদু মিয়া মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এ আহ্বান জানান। ‘মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর ৪৭তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিবস উপলক্ষে’ বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ ঢাকা মহানগর শাখা এ ‘শ্রদ্ধা নিবেদন ও আলোচনা সভা’র আয়োজন করে।
বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব বলেন, মওলানা ভাসানী শুধু স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা নন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক গুরুও বটে। তিনি আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের পর ৯ মার্চ তার বক্তব্যকে সমর্থন করেছিলেন মওলানা ভাসানী। ১৯৭০ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয়কে সুনিশ্চিত করতে ভূমিকা রেখেছিলেন তিনি।
মজলুম জননেতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে গোলাম মোস্তফা বলেন, মওলানা ভাসানীকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের কোনো ইতিহাস নির্মাণ করা সম্ভব নয়। ৪৭, ৪৯, ৫২, ৫৪, ৫৭ এর কাগমারী সম্মেলনে ‘আসসালামু আলাইকুম’ উচ্চারণের মধ্য দিয়ে প্রথম স্বাধীনতার মন্ত্র উচ্চারণ, ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান, ৭০’র নির্বাচন, ৭১’র মুক্তিযুদ্ধ, ৭৬ সালে ফারাক্কা লংমার্চের মাধ্যমে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের বীজ বপন, কোথায় নেই মওলানা ভাসানী? তাকে বাদ দিয়ে যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আর জাতীয়তাবাদের কথা বলে মুখে ফেনা তোলেন, তারা মূলতঃ আত্মপ্রবঞ্চক।
বাংলাদেশ ন্যাপ ঢাকা মহানগর শাখার সভাপতি মো. শহীদুননবী ডাবলুর সভাপতিত্বে সভায় অংশগ্রহণ করেন এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, লেবার পার্টি মহাসচিব আবদুল্লাহ আল মামুন, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি অতিরিক্ত মহাসচিব অ্যাডভোকেট জাফর আহমেদ জয়, ন্যাপ ভাইস চেয়ারম্যান কাজী ফারুক হোসেন, স্বপন কুমার সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল ভুইয়া, নগর সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৯
এমএইচ/এইচএ/