শুক্রবার (২৩ আগস্ট) রাতে এক শোক বার্তায় ওবায়দুল কাদের বলেন, ন্যাপ সভাপতি ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, দেশের সব গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল আন্দোলনের অগ্রসৈনিক বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ অধ্যাপক মোজাফফর আহমদের অবদান জাতি চিরদিন শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।
বিবৃতিতে তিনি মরহুম অধ্যাপক মোজাফফর আহমদের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
শুক্রবার রাত পৌনে ৮টার দিকে রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ৯৭ বছর বয়সী এই প্রবীণ রাজনীতিবিদ।
অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ মুক্তিযুদ্ধকালীন মুজিবনগর সরকারের উপদেষ্টা ছিলেন। এছাড়া ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতাযুদ্ধে তার ভূমিকা অবিস্মরণীয়।
তার জন্ম ১৯২২ সালে। ১৯৩৭ সালে রাজনীতিতে অংশ নেন। এই রাজনীতি করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি ছেড়ে দিয়েছিলেন তিনি।
১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে মোজাফফর আহমদ দেবীদ্বার থেকে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। তদানীন্তন মুসলিম লীগের শিক্ষামন্ত্রী মফিজুল ইসলামকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে নজির সৃষ্টি করেছিলেন তিনি।
১৯৬৮ সালে ন্যাপ দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। একভাগ মাওলানা ভাসানীর সঙ্গে থাকলেও অন্য অংশ অধ্যাপক মোজাফফর আহমদের নেতৃত্বে আলাদা হয়ে যায়।
রাজনীতিতে অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ সততাকে ব্রত করেছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি বার্ধক্যজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ০০৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১৯
এসকে/ওএইচ/