শনিবার (২৪ আগস্ট) বেলা ১২টায় ধানমন্ডি হকার্স মার্কেটে ন্যাপ কার্যালয়ে তার মরদেহ আনা হয়। এসময় দেশের প্রবীণ এই রাজনীতিবিদকে একবার দেখা এবং শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য তার রাজনৈতিক জীবনের অসংখ্য সহযোদ্ধা ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের উপস্থিত থাকতে দেখা যায়।
এরপর মোজাফফর আহমদের মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নিয়ে যাওয়া হবে, সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বাদ যোহর বায়তুল মোকাররম মসজিদে তার দ্বিতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
রোববার (২৫ আগস্ট) কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলায় নিজ গ্রামে অধ্যাপক মোজাফফর আহমদের দাফন সম্পন্ন করা হবে।
এর আগে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত প্রথম জানাজায় নামাজ পড়ান মসজিদের ইমাম মাওলানা ক্বারী মো. সাইফুল্লাহ।
প্রথম জানাজায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সিপিবি নেতা মুজাহিদুল ইসলাম, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পরে রাষ্ট্রীয় গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।
এ সময় ন্যাপের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন অধ্যাপক মোজাফফর আহমদের জীবন বৃত্তান্ত পাঠ করেন।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) রাত পৌনে ৮টার দিকে রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ৯৭ বছর বয়সী এই প্রবীণ রাজনীতিবিদ।
তার মৃত্যুর পর রাতে দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন জানান, বেলা ১১টায় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় প্রথম জানাজা ও শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বেলা সাড়ে ১১টায় ন্যাপ অফিসে তাকে শ্রদ্ধা জানানো হবে। এরপর বেলা ১২টায় তাকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নিয়ে যাওয়া হবে, সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বাদ যোহর বায়তুল মোকাররম মসজিদে তার দ্বিতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এর পরদিন কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলা নিজ গ্রামে অধ্যাপক মোজাফফর আহমদের দাফন সম্পন্ন করা হবে।
অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ মুক্তিযুদ্ধকালীন মুজিবনগর সরকারের উপদেষ্টা ছিলেন। এছাড়া ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতাযুদ্ধে তার ভূমিকা অবিস্মরণীয়। তার জন্ম ১৯২২ সালে। ১৯৩৭ সালে রাজনীতিতে অংশ নেন। এই রাজনীতি করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি ছেড়ে দিয়েছিলেন তিনি। ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে মোজাফফর আহমদ দেবীদ্বার থেকে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। তদানীন্তন মুসলিম লীগের শিক্ষামন্ত্রী মফিজুল ইসলামকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে নজির সৃষ্টি করেছিলেন তিনি।
১৯৬৮ সালে ন্যাপ দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। একভাগ মাওলানা ভাসানীর সঙ্গে থাকলেও অন্য অংশ অধ্যাপক মোজাফফর আহমদের নেতৃত্বে আলাদা হয়ে যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১৯
আরকেআর/জেডএস