মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) রাতে গুলশানের বাসায় লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে রাখা মরদেহের সামনে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এসময় কাঁচঘেরা মরদেহের সামনে তিনি কিছুক্ষণ নিরবে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় দলের চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান, স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদের ছেলে আবেদ আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
শ্রদ্ধা জানানো শেষে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, ‘শাহজাহান সিরাজের এই চলে যাওয়াটা বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটা বিরাট শূণ্যতা সৃষ্টি করলো। এই শূণ্যতা পূরণ হবার নয়। আমরা জাতীয়তাবাদী দলের পক্ষ থেকে, আমাদের চেয়ারপারসন দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি, গভীর শোক জানাচ্ছি এবং আল্লাহ তালার কাছে দোয়া করছি তিনি যেন তাকে বেহেস্ত নসিব করেন’।
পরিবারের সদস্যদের প্রতিও সমবেদনা জ্ঞাপন করেন বিএনপি মহাসচিব।
প্রয়াত নেতার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘শাহজাহান সিরাজ বাংলাদেশের ইতিহাসের একটা অবিচ্ছেদ্য অংশ। স্বাধীনতা সংগ্রাম, স্বাধীনতা যুদ্ধে অন্যতম নায়ক ছিলেন তিনি। দীর্ঘকাল তার শৈশব থেকে কৈশোর এবং ছাত্র অবস্থাতে এদেশের স্বাধীনতার জন্য তিনি সংগ্রাম করেছেন, গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছেন, মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম করেছেন’।
স্বাধীনতা যুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং পরবর্তীকালে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে, একদলীয় একনায়ক শাসনের বিরুদ্ধেও তিনি সংগ্রাম করেছেন। জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য এবং জনগণের অধিকার রক্ষার জন্য শাহজাহান সিরাজ সংগ্রাম করেছেন, লড়াই করেছেন। এদেশের মানুষের কল্যাণের জন্য তিনি আজীবন কাজ করেছেন। অসুস্থ হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি এদেশের মানুষের কল্যাণের কথাই চিন্তা করেছে’।
এর আগে মির্জা ফখরুল গুলশানের ২৩ নম্বর সড়কের ২৮ নম্বর বাসায় গিয়ে প্রয়াত নেতার স্ত্রী রাবেয়া সিরাজের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাকেসহ পরিবারের সদস্যদের সান্তনা দেন। এসময় তার মেয়ে ব্যারিস্টার শুক্লা সিরাজ ও জামাতা ওমর সাহাদাত উপস্থিত ছিলেন।
মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান শাহজাহান সিরাজ।
শাহজাহান সিরাজের মৃত্যু সংবাদের পর বিএনপিতে শোকের ছাযা নেমে আসে। অনেকে গুলশানের বাসায় গিয়ে তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এদের মধ্যে দলের যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, কেন্দ্রীয় নেত্রী শিরিন সুলতানা প্রমুখ নেতারা তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
বাংলাদেশ সময়: ০২০৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০২০
এমএইচ/এসআরএস