ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

করোনায় বাসদের কার্যক্রম বন্ধের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৩ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০২০
করোনায় বাসদের কার্যক্রম বন্ধের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন সংবাদ সম্মেলন

বরিশাল: করোনা ভাইরাসকে ঘিরে বরিশালে বাসদের অক্সিজেন ব্যাংক, ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস, ফ্রি চিকিত্সা, মানবতার বাজারসহ সকল কার্যক্রম বন্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

রোববার (২৬ জুলাই) সকালে বরিশাল নগরের ফকিরবাড়ি রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ তোলেন জেলার আহ্বায়ক ইমরান হাবিব রুমন ও সদস্য সচিব ডা. মনীষা চক্রবর্তী।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠকালে ডা. মনীষা চক্রবর্তী বলেন, করোনা দুর্যোগ মোকাবিলায় বাসদ বরিশাল জেলা শাখার সকল কার্যক্রমই সারাদেশের মানুষের নজর কেড়েছে। গত ৪ ফেব্রুয়ারি ‘করোনা দুর্যোগ মোকাবিলায় আমাদের করণীয়’ শীর্ষক সেমিনার দিয়ে আমাদের কার্যক্রম শুরু করে মার্চে প্রায় ১৫ সহস্রাধিক হ্যান্ডওয়াশ ও ব্লিচিং লিকুইড তৈরি ও বিতরণ করেছি।

তিনি বলেন, ২৬ মার্চ থেকে লকডাউনে দুস্থ মানুষদের সহযোগিতার জন্য এক মুঠো চাল ও মানবতার বাজার কর্মসূচিতে প্রায় ২০ হাজার পরিবারকে আমাদের দলের পক্ষ থেকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করেছি। বিনামূল্যে চিকিৎসসেবা ও ওষুধ বিতরণ, সকল করোনা আক্রান্ত রোগীর বাসায় খাদ্য ও ওষুধ সরবরাহের দায়িত্ব আমরা শুরু থেকে এখনও পালন করে যাচ্ছি। বরিশালে প্রথম অক্সিজেন ব্যাংক চালু করেছি যা এখনও অব্যাহত রয়েছে এবং এর চাহিদাও দিন দিন বাড়ছে। খুব দ্রুত আমাদের এই অক্সিজেন ব্যাংকে ৪টি আধুনিক অক্সিজেন কনসেট্রেটর যুক্ত হতে যাচ্ছে। ফলে বরিশালে আমরা আরও অনেক বেশি মানুষকে নিরবিচ্ছিন্ন অক্সিজেন সরবরাহ করতে পারবো। বরিশাল বিভাগের একমাত্র করোনা রোগী পরিবহনে করোনা ডেডিকেটেট অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস বিনামূল্যে আমরাই দিয়ে আসছি।

তিনি বলেন, এরমধ্যে কাজের পরিধি বেড়ে যাওয়ায় একটি ভবনের চারটি রুম ব্যবহারের অনুমতি পাওয়া যায়। কিন্তু হঠাৎ করে রুমগুলো ব্যবহার করার কারণে সুজিত কুমার দেবনাথ আমাদের কাছে ওই রুম চারটির জন্য ৪ লাখ টাকা অ্যাডভান্স ও ৩৫ হাজার টাকা ভাড়ার কথা বলেন। পরে ভবনের মূল মালিক হাসান ইমাম চৌধুরীর মেয়ে খোঁজখবর নিতে ফোন দিলে তাকে বিষয়টি বলা হয়। মালিকের পরিবারের সঙ্গে আলোচনার বিষয়টি জানতে পেরে সুজিত কুমার ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং করোনা দুর্যোগের সকল কাজ বন্ধ করে আমাদের রুমগুলো ছেড়ে দেওয়ার জন্য চাপ প্রদান করতে থাকেন। পাশাপাশি আমাদের কাজগুলোকে বিভিন্নভাবে বাধাগ্রস্ত করতে থাকেন। এই পরিস্থিতিতে মালিক পরিবার আরও কিছুদিনের জন্য হলেও আমাদের কাজ নির্বিঘ্নে করার জন্য সুজিত কুমারের কাছে বলার পরও তিনি তা না শুনে বিভিন্ন চক্রান্ত এবং যড়যন্ত্রের আশ্রয় নেন। এমনকি আমাদের ভলন্টিয়ারদের সম্পর্কেও নানা বিভ্রান্তিকর অপপ্রচার চালাতে শুরু করেন।

সংবাদ সম্মেলনে বাসদের জেলা শাখার নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪২ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০২০
এমএস/এইচএডি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।