ঢাকা: সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে এবং সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লোটার স্বার্থে বিএনপি-জামায়াত ও তাদের দোসর সাম্প্রদায়িক উগ্রগোষ্ঠী মিলে কুমিল্লার ঘটনা ঘটিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
রোববার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ সব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, কুমিল্লায় যে ঘটনা ঘটেছে, সেটা আবার ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছে। এগুলো কী উদ্দেশ্যে করা হয়েছে? উদ্দেশ্য খুবই স্পষ্ট। দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা স্থিতিশীল আছে, দেশ করোনা মহামারির মধ্যেও এগিয়ে যাচ্ছে, মহামারিও নিয়ন্ত্রণে এসেছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে মানুষের কাছাকাছি তারা পৌঁছাতে পারেনি। সুতরাং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
সরকার দেশের নানা সমস্যাকে পাশ কাটানোর জন্য এ কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছে এবং বিরোধী বা অন্য দলের ওপর দোষ চাপাচ্ছে- বিএনপির এমন অভিযোগের বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আরও অনেকেই এমন কথা বলেছেন। তাদের কাছে জানতে চাই, দেশে আর কী কী বড় সমস্যা আছে? করোনা নিয়েতো অনেক কথা বলেছেন। করোনা নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। শনিবার সংক্রমণের হার ছিল দুই শতাংশের নিচে। টিকাও ব্যাপক সংখ্যক জনগোষ্ঠীকে দেওয়া হয়েছে। স্কুল-কলেজও খুলে গেছে। অথচ করোনা এবং টিকা নিয়েও অনেক সমালোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, সরকার সবসময় চায় দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় থাকুক। দেশের অগ্রগতির জন্য যে কোন সরকার, এটা যদি বিএনপিও ক্ষমতায় থাকে, তাদেরও চাওয়ার কথা। অবশ্য বিএনপি কী চায় তা জানি না। তারা ক্ষমতায় থাকাকালে অনেক কিছুই করেছে। '
মন্ত্রী বলেন, এই সাম্প্রদায়িকতা ও সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী নিয়ে কারা রাজনীতি করে? যারা দেশটাকে তালেবানি রাষ্ট্র বানাতে চায়, তারাতো বিএনপি জোটের মধ্যে আছে। যারা কথায় কথায় এ দেশকে ইসলামি প্রজাতন্ত্র করতে চায়, তারাতো বিএনপি জোটের মধ্যেই আছে। বিএনপির মধ্যে অনেক নেতা আছে, যারা এ দেশটা চায় না। যারা সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করে তারাই এ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে কুমিল্লায় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটিয়েছে। কারা ওখানে কোরআন শরীফ রেখে গিয়েছিল, এটি নিশ্চয়ই বের হবে। এরপর সবকিছু দিবালোকের মতো স্পষ্ট হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭,২০২১
জিসিজি/এমএমজেড