ঢাকা: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা.মো. মুরাদ হাসান বলেছেন যে কোন মূল্যে আমাদের ৭২ এর সংবিধানে ফিরে যেতে হবে। বাংলাদেশ কোনো ধর্ম ব্যবসায়ী, মৌলবাদীদের আস্তানা হতে পারে না।
তিনি বলেন, আমাদের শরীরে মুক্তিযোদ্ধার রক্ত। বঙ্গবন্ধু যে সংবিধান দিয়ে গেছেন, সেই সংবিধানে ফিরে যাওয়ার জন্য সংসদে কথা বলবো আমরা। কেউ কথা না বললেও আমি মুরাদ সংসদে কথা বলবো।
রোববার (১৭ অক্টোবর) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ছেলে শেখ রাসেলের ৫৮তম জন্মদিন উপলক্ষে এক আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ‘প্রিয় বঙ্গবন্ধু’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন, আশ্রয় কর্মসূচি'র উদ্বোধন কর্মসূচি অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি) মিলনায়তনে এই আয়োজন করে।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, খুনিরা তাকে হত্যা করে বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকার নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, তাদের সেই অপচেষ্টা শতভাগ ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে। শহীদ শেখ রাসেল আজ বাংলাদেশের শিশু-কিশোর, তরুণ, শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষদের কাছে ভালোবাসার নাম। অবহেলিত, পশ্চাৎপদ, অধিকার বঞ্চিত শিশুদের আলোকিত জীবন গড়ার প্রতীক হয়ে গ্রাম-গঞ্জ-শহর তথা বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ জনপদ-লোকালয়ে শেখ রাসেল আজ এক মানবিক সত্ত্বায় পরিণত হয়েছেন।
মানবিক চেতনাসম্পন্ন সব মানুষ শেখ রাসেলের মর্মান্তিক বিয়োগ বেদনাকে হৃদয়ে ধারণ করে বাংলার প্রতিটি শিশু-কিশোর তরুণের মুখে হাসি ফোটাতে আজ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূরে আলম চৌধুরী লিটন বলেন, আজ রাসেল বেঁচে থাকলে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে থাকতো। ১৫ আগস্ট নৃশংস হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে ঘাতকরা মনে করেছিল আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করে দেবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সেই দলকে সংগঠিত করে রাষ্ট্রক্ষমতায় এনেছেন। বঙ্গবন্ধু ছাড়া বাংলাদেশের স্বাধীনতা যেমন সম্ভব ছিল না, তেমনি শেখ হাসিনা ছাড়াও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ সম্ভব ছিল না।
যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, পৃথিবীর জঘন্যতম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিল ১০ বছরের শেখ রাসেল। আন্তর্জাতিক সমর নীতিতে শিশু হত্যা অন্যায় বলা হয়। তাকে সেদিন মানসিক নির্যাতন করেছে। মায়ের কাছে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে মা, চাচা, ভাই-ভাবীর রক্তের ওপর দিয়ে হাঁটিয়ে নিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে। তাকে বুলেট দিয়ে হত্যার আগে অনেকবার মানসিকভাবে হত্যা করা হয়েছে। রাসেলের জন্য যে কোনো মানবিক মানুষের মায়া আসবে। আর সে মায়া থেকে ঘৃণা আসবেই।
যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন রাজনীতিবিদ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সাংসদ আসাদুজ্জামান নূর। এছাড়া বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিলসহ সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এছাড়া জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে যুবলীগ চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদক বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা ‘প্রিয় বঙ্গবন্ধু’ চিঠির আহ্বান করেন। সারাদেশ হতে প্রাপ্ত চিঠির সংকলনই হচ্ছে ‘প্রিয় বঙ্গবন্ধু’ বই।
বাংলাদেশ সময় : ২০১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭,২০২১
জিসিজি/এমএমজেড