পঞ্চগড়: জন্মলগ্ন থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন পঞ্চগড় সদর উপজেলার সাতমেরা ইউনিয়নের জোতহাসনা গ্রামের বাসিন্দা মরহুম খবির উদ্দীন। তৃণমূলে ছিলেন খুবই জনপ্রিয়।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মরহুম খবির উদ্দীন তার দীর্ঘ জীবনের সততা এবং সংগ্রামী জীবন সম্পর্কে অবগত ছিলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ কারণে তাকে খবির চাচা সম্বোধন করতেন প্রধানমন্ত্রী। খবির উদ্দীন দীর্ঘদিন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সততা আর নিষ্ঠার কারণে ২০১৬ সালের ৪ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে ১২ লাখ টাকা অনুদানের চেক দেন। এর দুদিন পরেই গত ৬ মে পঞ্চগড় সদর উপজেলার হেলিপ্যাড এলাকায় দলীয় মিটিংয়ে অংশ নিতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ঢাকা পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। চিকিৎসাধীন থাকার ৯ দিনের মাথায় ১৫ মে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। এরপর থেকে বাবার কার্যক্রম মানুষের মধ্যে অব্যাহত রাখতে বাবা খবির উদ্দীনের দেখানো পথে নামেন ছেলে রবিউল ইসলাম রবি। দীর্ঘদিন ধরে এলাকার গরিব-দুঃখী ও সমস্যায় পড়ে থাকা মানুষের উপকার করে আসছেন তিনি।
নিজ চোখে বাবার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবন, বঙ্গবন্ধু ও তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি সম্মান ও ভালোবাসা বুকে ধারণ করে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগে সক্রিয় হয়ে পড়েন ছেলে রবি। নিজ ইউনিয়নের কোনো মানুষ বিপদে পড়লেই সবার আগে ছুটে যাওয়া মানুষটি তিনিই। প্রতিনিয়ত অসহায় মানুষের পাশে থাকায় রবি এখন সবার ভরসার মানুষ। ইউনিয়নের মানুষের চাওয়া রবিকে এবার নৌকা প্রতীকে সাতমেরা ইউনিয়ন থেকে মনোনয়ন দেওয়া হোক। তবেই উন্নয়ন হবে এলাকার ও মানুষের।
সাতমেরা ইউনিয়নের কাহার পাড়ার বাসিন্দা রিয়াজুল ইসলামসহ স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বললে তারা বাংলানিউজকে বলেন, রবিউল ইসলাম রবিকে নৌকা প্রতীকে মনোয়ন দিলে তিনি বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন। কারণ তিনি এলাকায় বাবার মতোই জনপ্রিয়। তিনি চেয়ারম্যান হলে এলাকার অনেক উন্নয়ন হবে। সবচেয়ে বড় কথা হলো, রবি ভাই গরিবের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন। এরপর সাধ্যমতো তিনি সমাধানের চেষ্টা করেন। রবি চেয়ারম্যান হিসেবে যোগ্য প্রার্থী। তাকে দলের মনোনয়ন দিলে ইউনিয়নবাসী অনেক উপকৃত হবে। আমরা তাকে চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চাই।
জোতহাসনা গ্রামের আরো অনেকে সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রবি বর্তমানে খুবই জনপ্রিয়। বাবার অবর্তমানে তিনি দীর্ঘদিন ধরে সাতমেরা ইউনিয়নে মানুষের পাশে থেকে সেবা করে যাচ্ছেন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আস্থাভাজন ছিলেন তার বাবা। তাকে দেখলে খবির চাচা বলে ডাকতেন। সেটাই আমরা ইউনিয়নবাসী জানি। প্রধানমন্ত্রী তাকে খুব ভালোবাসতেন। যেহেতু খবির চাচার উত্তরসূরি রবি। আমরা খবির চাচার ছেলেকে নৌকা প্রতীক দেওয়ার দাবি করছি।
এ বিষয়ে সাতমেরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নৌকার মননোয়ন প্রত্যাশী রবিউল ইসলাম রবি বাংলানিউজকে বলেন, আওয়ামী লীগের প্রতি আমার বাবা সারাজীবন নিবেদিত ছিলেন। তিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত দলকে সময় দিয়েছেন। কঠিন সময়েও তিনি দলের সিদ্ধান্ত এবং ভালো লাগা থেকে এক চুলও সরেননি। এটা পঞ্চগড় আওয়ামী লীগের সবাই অবগত। বাবার কাছ থেকে সরাসরি রাজনীতি শিখেছি। অসহায় মানুষের জন্য কীভাবে কাজ করতে হয় সেটা বাবা শিখিয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে দলের জন্য কাজ করছি। দলের মানুষের জন্য কাজ করছি। গতবার প্রথমবারের মতো ভোট যুদ্ধে নেমেছিলাম, সে সময় ৬ হাজার ৪০০ ভোট পেয়ে কিছু ভোটে হেরে যায়। নতুন হিসেবে হয়তো এমনটা হয়েছে। তবে এবার এলাকার মানুষ খুব করে চায় আমাকে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে। দল আমার বাবা ও আমার রাজনৈতিক কার্যক্রম বিবেচনা করে যা সিদ্ধান্ত দেবে সেটাই আমার সিদ্ধান্ত। ইনশাআল্লাহ বাবার মতো শেষ দম থাকা পর্যন্ত সৎ ও নিষ্ঠার সঙ্গে জনগণের জন্য কাজ করে যাবো এবং বাবার দেখানো পথেই চলবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০২১
এনটি