ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

প্রবাসে বাংলাদেশ

প্রবাসের চিঠি: লন্ডন

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১২ ঘণ্টা, মার্চ ৮, ২০১১
প্রবাসের চিঠি: লন্ডন

৭১ সালে পাকিস্তানি ক্রিকেট দলকে ব্রিটেনে আসতে বাধা দেই: ব্রিটিশ এমপি

সৈয়দ আনাস পাশা
১৯৭১ সালের এপ্রিলে বাংলাদেশে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ইতিহাসের বর্বরতম গণহত্যার প্রতিবাদে পাকিস্তান ক্রিকেট টিমের ব্রিটেনে আসা আটকে দিয়েছিলাম আমরা।

বিশেষ ঘোষণা

আগ্রহী প্রবাসী বাংলাদেশিরা বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম-এর প্রবাসের চিঠি বিভাগে লিখতে পারবেন।
আপনাদের স্বপ্ন, অনুভূতি, গল্প-কবিতা, ঘটনা, অনুষ্ঠানসহ নানা বিষয় এতে স্থানে পাবে। লেখা পাঠাবার ঠিকানা: [email protected] অথবা [email protected]

বাংলাদেশের স্বাধীনতার চল্লিশ বছরপূর্তিতে লন্ডন থেকে প্রচারিত একমাত্র বাংলা রেডিও স্টেশন ‘বেতার বাংলা’র মাসব্যাপী স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠান ‘গৌরবের চল্লিশ বছর’ শীর্ষক আলোচনায় ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সাবেক এমপি মাইকেল বার্ন এ কথা জানান। গত ১ মার্চ অনুষ্ঠানটি শুরু হয়েছে।

বেতার বাংলার এই অনুষ্ঠান প্রতিদিন লন্ডন সময় রাত ৮টা ১৫ মিনিট শুরু হয়। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করছেন পর্যায়ক্রমে চারজন। তারা হচ্ছেন, আবু মুসা হাসান, বুলবুল হাসান, সৈয়দ আনাস পাশা ও নোরা শরীফ। অনলাইনেও (www.betarbangla.org.uk) পাওয়া যাবে এটি

ব্যারিস্টার নোরা শরীফের উপস্থাপনায় ‘গৌরবের চল্লিশ বছর’ এর বুধবারের অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাইকেল বার্ন।

স্মৃতিচারণে মাইকেল বার্ন বলেন, ‘৭১ এর মার্চে পাকিস্তানি বাহিনীর গণহত্যা শুরুর পর এপ্রিলের দিকে পাকিস্তানি ক্রিকেট টিমের ব্রিটেন আসার কথা ছিল। আমি তখন হাউস অব কমন্সে এর বিরুদ্ধে মোশন আনি। ওই মোশনে আমি বলেছিলাম, পূর্ব পাকিস্তানে যখন পাকিস্তানি বাহিনীর গণহত্যায় হাজার হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করছে,  ঠিক সেই সময় পাকিস্তানি ক্রিকেট টিমকে ব্রিটেন স্বাগত জানাতে পারে না। ’ এমপিরা পার্লামেন্টে আমার এই মোশনের পক্ষে তাদের সমর্থন জানান। শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানি ক্রিকেট টিমের ব্রিটেনে আসা আটকে দেওয়া হয়।

মুক্তিযুদ্ধের সময় মে মাসে বাংলাদেশ আসার কথাও উল্লেখ করেন মাইকেল বার্ন। এর আগে তিনি ভারতে বাংলাদেশের প্রবাসী সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

১৯৬৬ সাল থেকে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত বার্ন ব্রিটিশ পার্লামেন্টের এমপি ছিলেন।

 

kobita photoকবি নাহার মনিকার সঙ্গে আড্ডা

গত ৩ ফেব্রুয়ারি কানাডা প্রবাসী কবি ও গল্পকার নাহার মনিকার সঙ্গে লন্ডনে ব্রিটেনের বাংলাভাষী কবি-সাহিত্যিক-সংস্কৃতিকর্মীবৃন্দ এক প্রাণবন্ত আড্ডায় মিলিত হন।

বাংলাদেশের বইমেলা থেকে কানাডায় ফেরার পথে লন্ডনে যাত্রা বিরতিকালে এ আড্ডার আয়োজন করা হয়।

নারী বিষয়ক কাগজ ’নারী’র সম্পাদক ও কবি শাহনাজ সুলতানার ইস্ট লন্ডনের বাসায় চকিত এ আড্ডায় উপস্থিত ছিলেন কবি ও সাংবাদিক মনজুরুল আজিম পলাশ, সাপ্তাহিক সুরমার সাহিত্য সম্পাদক কবি আহমদ ময়েজ, বিলেত থেকে প্রকাশিত লিটলম্যাগ ’শব্দপাঠ’ এর সম্পাদক কবি আবু মকসুদ, কবি কাজল রশীদ, কবি শাহ শামীম, কবি সৈয়দ রুম্মান, কবি রেজওয়ান মারুফ, কবি আবদুল কাইয়ুম, কবি তাবাসসুম ফেরদৌস প্রমুখ

পুরো আড্ডাতে বিস্তর কথা হয় সবই কবি ও কবিতা বিষয়ে। গেল বইমেলায় নাহার মনিকার ‘পৃষ্ঠাগুলো নিজের’ কাব্যগ্রন্থ বের হয়েছে।



বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ক্যানারিওয়ার্ফ গ্রুপের মতবিনিময়

ব্রিটিশ বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ক্যানারিওয়ার্ফ গ্র“পের এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। গ্র“পের সদরদপ্তর লন্ডন ডকল্যান্ডের সর্বোচ্চ ৫২ তলা ভবনের ৩০তম তলার সভাকক্ষে।

ব্রিটেনের বাঙালি ধনকুবের মুকিম আহমদের নেতৃত্বে ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল ক্যানারিওয়ার্ফ গ্রুপের সদরদপ্তরে পৌঁছলে তাদের স্বাগত জানান গ্রুপের হেড অব কমিউনিটি অ্যাফেয়ার্স জাকির খান।

এরপর জাকির খান বাংলাদেশি ব্যাবসায়ীদের ক্যানারিওয়ার্ফ গ্রুপের বিভিন্ন প্রকল্প সম্পর্কে ধারণা দেন ও ক্যানারিওয়ার্ফ গ্রুপের সেবামূলক বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।

ক্যানারিওয়ার্ফ গ্রুপ ব্রিটিশ বাংলাদেশিদের ব্যবসার প্রসারে সব ধরনের ব্যবসায়িক সুবিধা দিতে প্রস্তুত বলেও তিনি ব্যাবসায়ীদের অবহিত করেন।

কিভাবে ব্যবসায়ীরা এ সুযোগকে কাজে লাগাতে পারেন এ নিয়ে বক্তব্য রাখেন ব্রিটিশ বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের (বিবিসিসি) অন্যতম পরিচালক মুকিম আহমেদ, স্টুয়ার্ট ক্যামেরার  ডিরেক্টর হেলাল উদ্দিন, মিডিয়া লিংকের পরিচালক মুজিবুল ইসলাম, বিবিসিসির অন্যতম পরিচালক ও ইউরোব্যালির চেয়ারম্যান নূর মিয়া, স্বদেশ ইনভেস্টমেন্টের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মামুন আহমেদ, এনটিভি ইউকের পরিচালক মাহমুদুর রহমান, ড্রেসি ওয়েডিংয়ের ম্যানেজিং পার্টনার সাহার মিয়া, সলিসিটর কয়ছর চৌধুরী, ইস্টার্ন প্রাইড এর সত্বাধিকারী গয়াছ মিয়া ও প্রাইম ব্যাংক ইউকের  উপপরিচালক  ইসবাহুল বার চৌধুরী প্রমুখ।


পীর হবিবুর রহমান স্মরণ

জননেতা পীর হবিবুর রহমান ছিলেন বাংলাদেশের মেহনতি মানুষের আস্থাভাজন রাজনীতিক। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম শীর্ষ সংগঠক এই নেতা আজীবন সমাজের খেটে খাওয়া মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের ল্েয করেছেন। ব্রিটেনে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার ড. সাইদুর রহমান খান এসব কথা বলেন।

সোমবার পূর্ব লন্ডনের মন্টিফিউরি সেন্টারে পীর হবিবুর রহমান স্মৃতি সংসদ এর উদ্যোগে ‘পীর হবিবুর রহমান স্মারক গ্রন্থ’-এর প্রকাশনা উৎসবের আয়োজন করা হয়।

সাইদুর রহমান খান বলেন, ‘সাদাসিধে জীবনের অধিকারী ব্যতিক্রমী এই ব্যক্তিত্বের মতো সৎ রাজনীতিকের সংখ্যা বাংলাদেশে হাতেগোনা। এই নেতার জীবনাদর্শ অনুসরণ করলে নতুন প্রজন্ম থেকেও পীর হবিবের মতো রাজনীতিক বেরিয়ে আসা সম্ভব।

এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পীর হবিবুর রহমান স্মৃতি সংসদের সভাপতি মাহমুদ এ রউফ। পরিচালনা করেন সংসদের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ এনামুল ইসলাম।

পীর হবিবের জীবনদর্শন ও স্মারক গ্রন্থের ওপর আরও বক্তব্য রাখেন ব্রিটেনে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার গিয়াস উদ্দিন, পীর হবিবের রাজনৈতিক সহযোদ্ধা ও সাংবাদিক আবু মুসা হাসান ও সাপ্তাহিক জনমতের চীফ এডিটর সৈয়দ নাহাস পাশা। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, সৈয়দ রকিব, রেজা আহমেদ ফয়সল চৌধুরী শুয়েব, নজরুল ইসলাম, পীর হবিবুর রহমানের ছেলে মঞ্জুর রহমান, এম এ মান্নান, হামিদ মোহাম্মদ ও ডা. ফয়জুল ইসলাম।

তৎকালীন ন্যাপ নেতা ও গণতন্ত্রী পার্টির এক সময়ের কেন্দ্রীয় সভাপতি ৫৪-র যুক্তফ্রন্ট ও ৮৬ সালের বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের নির্বাচিত সদস্য, ভাষা সৈনিক জননেতা পীর হবিবুর রহমান ২০০৪ সালের ১৬ ফেব্র“য়ারি সিলেটের একটি কিনিকে বার্ধক্যজনিত রোগে ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুর পর তাঁর রাজনৈতিক অনুসারীদের উদ্যোগে বাংলাদেশে গঠন করা হয় ‘পীর হবিবুর রহমান স্মৃতি সংসদ’।

বাংলাদেশ সময়: ১১২৬ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।