ঢাকা: বাঙালি-অস্ট্রিয়ান কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনার জেন্টস হলে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
শুক্রবার ( ৯ মে) অনুষ্ঠানে গান পরিবেশ করে দর্শক মাতান প্রখ্যাত শিল্পী রথীন্দ্রনাথ রায়।
এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সভাপতি সুনারিয়া হাইলমান। পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক রুহী দাস সাহা। অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণই ছিল শিল্পী রথীন্দ্রনাথ রায়ের জনপ্রিয় গান পরিবেশন।
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের এ গুণী শিল্পী একটার পর একটা পরিবেশন করেন মাটির গান। তাঁর অনবদ্য সুরশৈলী ও গায়কি ঢং প্রবাসী শ্রোতাদের ফিরিয়ে নিয়ে যায় ফেলে আসা সেই চিরচেনা বাংলায়।
তিনি গেয়ে শোনান ‘তীরহারা এই ঢেউয়ের সুরে/ আমারই দেশ সব মানুষের/ তুমি আর একবার আসিয়া, যাও মোরে কান্দাইয়া/ খোদার ঘরে নালিশ করতে/ ও যার অন্তরে বাহিরে কোনো তফাত নাই-এর মতো জনপ্রিয় সব গান। এ সময় রথীন্দ্রনাথের সুরের জাদু মুগ্ধ করে রাখে দর্শক-শ্রোতাদের।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ দূতাবাস ভিয়েনার রাষ্ট্রদূত মো. আবু জাফর, দূতাবাসের অনারারি কাউন্সিলর কমার এরনস্ট গ্রাফট, সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং অস্ট্রিয়া প্রবাসী মানবাধিকার কর্মী, লেখক ও সাংবাদিক এম. নজরুল ইসলাম, অস্ট্রিয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার হাফিজুর রহমান নাসিম, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম কবির প্রমুখ।
এছাড়া অস্ট্রিয়ান সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা মিজানুর রহমান খান, দূতাবাসের প্রথম সচিব শাবাব বিন আহমেদ, ভিয়েনা আন্তর্জাতিক পরমাণু সংস্থার কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামছুদ্দিন, ড. শহিদ হোসেনসহ আর অনেকে অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, রাষ্ট্রদূত মো. আবু জাফর, বাঙালি-অস্ট্রিয়ান হিন্দু কালচারাল অ্যাসোসিয়েশনের নেতা প্রতাপ কুমার মন্ডল ও রতন সাহা।
গান পরিবেশন করেন অস্ট্রিয়া প্রবাসী কণ্ঠশিল্পী উজালা রোজারিও, নাহিদ খান সুমি, জান্নাতুল ফেরদৌস, উৎফল কর্মকার, ঐশর্য শামছুদ্দিন ও নাসরিন রহমান।
নৃত্য পরিবেশন করে শিশুশিল্পী সুবর্ণ মন্ডল, রামিতা সাহা, ইশিতা সাহা, বিত্তি দাস, মেঘা কর্মকার, অর্জন দাস, প্রথমা, ঐশিক, তুষার, উৎস ও আরোহী।
অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় ছিলেন ফারা দিবা। তবলায় বিশ্বজিৎ ঘোষ, মিউজিকে আরিফ ও তপন রোজারিও।
বাংলার গান, বাংলার কবিতা, বাংলার মন ছোঁয়া নৃত্যে অনুষ্ঠানটি হয়ে ওঠে এক টুকরো বাংলাদেশ। রঙিন শাড়ি আর রঙিন পাঞ্জাবিতে ভিন্ন আমেজে সবাই মেতে ওঠেন।
অনুষ্ঠানে হরেক রকমের পিঠা, ভর্তা ও পান্তা-ইলিশসহ বিভিন্ন রকম খাবার দেয় বাঙালিয়ানার স্বাদ। ফুটে উঠে বাঙালি সংস্কৃতির চিত্র। বিপুল সংখ্যক প্রবাসী নারী-পুরুষ তাদের এই প্রাণের অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৩ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০১৫
এসএস/টিআই