ইতালি: ক্ষুধামুক্ত পৃথিবী গড়ার প্রত্যয়ে ১৪৫টি দেশের অংশগ্রহণে ইতালির বাণিজ্যিক রাজধানী মিলানে শুরু হয়েছে এক্সপো মিলানো ২০১৫।
‘ফিডিং দ্য প্ল্যানেট, অ্যানার্জি ফর লাইফ’ শিরোনামে ১ মে থেকে শুরু হওয়া আয়োজনটি ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে।
এ মেলায় বিভিন্ন দেশের প্যাভিলিয়নগুলো টেকসই বিশ্ব গড়ার পথে নিজ দেশের উদ্ভাবন দর্শনার্থীদের কাছে তুলে ধরছে। পরিবেশগত সমস্যা মোকাবেলায় ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, জীবন-যাত্রার মান উন্নয়ন ও খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়গুলো সম্পর্কে ধারণা দিচ্ছে এক্সপো মিলানোর প্যাভিলিয়নগুলো।
এক্সপো’র রাইস ক্লাস্টারে কম্বোডিয়া, লাউস, সিয়েরালিওন, মায়ানমার ও ভারতের প্যাভিলিয়নের সঙ্গে রয়েছে বাংলাদেশের প্যাভিলিয়ন। কৃষিপ্রধান দেশ হিসেবে বিভিন্ন ধরনের ধান উদ্ভাবন, উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা, গবেষণা ও স্থানীয় কৃষি সরঞ্জাম সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হচ্ছে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে।
রাইস ক্লাস্টারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর সহকারী পরিচালক সুবাশিস বোস, মিলানে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের কনসাল জেনারেল রেজিনা আহমেদ, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের গবেষক সেলিনা পারভিন বানু প্রমুখ। এছাড়াও এ মেলায় গবেষক, সরকারী কর্মকর্তা, প্রযুক্তিবিদ, ব্যবসায়ী প্রতিনিধি ও সাংবাদিকেরা অংশগ্রহণ করেছে।
খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ প্রজম্মের জন্য একটি নিরাপদ ও শান্তিময় বিশ্ব গড়ার তাগিদে মেলাটির আয়োজন করে আসছে ইতালি। এ মেলায় বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দুই কোটি দর্শনার্থীর সমাগম হবে আশা করছে আয়োজক দেশ ইতালি। ইতিমধ্যেই বিক্রি হয়ে গেছে ৯৫ লাখ টিকিট।
বর্তমানে রেজিস্টার্ড এক্সপো অনুষ্ঠিত হয় প্রতি পাঁচবছর পর পর। ১৮৫১ সালে লন্ডন এক্সপোর মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ নিয়ে প্রথম এক্সপো বা এক্সপোজিশনের যাত্রা শুরু হয়েছিল। ১৮৮৯ সালে প্যারিস এক্সপোর আয়োজন করে ফ্রান্স। ইতালি প্রথম মিলান এক্সপোর আয়োজন করে ১৯০৬ সালে। এ মেলায় বিভিন্ন দেশ এক্সপোর থিম অনুযায়ী তাদের প্যাভিলিয়নের মাধ্যমে দর্শনার্থীদের কাছে নিজ দেশের পণ্য, উদ্ভাবনী অর্জন, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি তুলে ধরে। পরবর্তী ইউনিভার্সেল এক্সপো অনুষ্ঠিত হবে ২০২০ সালে আরব আমিরাতের দুবাইয়ে।
বাংলাদেশ সময়: ১১০৫ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৫
এসইউ