ঢাকা: কানাডায় কেবল চাকরির অনিশ্চয়তা আর অভিবাসনগত সমস্যাই নয়, এখন সরকার অভিবাসীবিরোধী আইন করে অভিবাসীদের দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক বানাচ্ছে।
২৫ জুলাই টরন্টোর ডেনফোথস্থ এক্সেস পয়েন্টে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে স্থানীয় সংসদ সদস্য মেথিউ ক্যালওয়ে এ অভিযোগ করেন।
‘কানাডিয়ান এক্সপেরিয়েন্স: শেফিং লাইফ অ্যান্ড এক্সপেরিয়েন্স’ শীর্ষক প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন ও আলোচনা অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে বেঙ্গলি ইনফরমেশন অ্যান্ড এমপ্লয়মেন্ট সার্ভিসেস (বায়েস) এবং ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির ইয়র্ক সেন্টার ফর এশিয়ান রিচার্স।
ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির অ্যাসোসিয়েট ডিন ও বায়েসের উপদেষ্টা ড. ফাহিম কাদিরের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, শিক্ষাবিদ, কমিউনিটির বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে কেভিন এস বৈরাগীর নির্মিত একটি প্রামাণ্য চিত্র উপস্থাপন করা হয়। অভিবাসী বা ইমিগ্র্যান্টদের এমপ্লয়মেন্ট এবং সেটেলমেন্ট নিয়ে নির্মিত এ প্রামাণ্য চিত্রের বিষয়বস্তুর ওপর প্যনেল আলোচক ছিলেন বিচেস ইস্ট ইয়র্কের সংসদ সদস্য (এমপি) মেথিউ ক্যালওয়ে, স্কারবোরো সাউথ ইস্টের এমপি ড্যান হ্যারিস, ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির জিওগ্র্যাফির প্রফেসর রানু বসু, ওয়টারলু বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন স্টাডিজের অধ্যাপক ড. শ্রাবণী মিত্র, বায়েসের উপদেষ্টা ও সিআইবিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আবদুল হালিম মিয়া।
আলোচনায় মেথিউ ক্যালওয়ে বলেন, সরকার, সি ২৪, সি ৫১ এর মতো আইন করে অভিবাসীদের দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিকে পরিণত করছে, যা কোনোমতে কাম্য নয়। অথচ সরকার বলছে, এটা একটা নিরাপদ দেশ।
তিনি বলেন, গত তিন-চার দশক ধরে কোনো সরকারই বেকারত্ব নিরসন, আবাসন সংকটের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর সমাধানে নজর দেননি।
ড্যান হ্যারিস বলেন, লটারি পাওয়া ছাড়া এদেশে ভালভাবে জীবন-যাপন করা সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, একটি গোষ্ঠী কমিউনিটিকে বিভক্ত করে রাখতে চায়। এতে তাদের পক্ষে অনেক কিছুই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
কমিউনিটির লোকদের সম্পৃক্ততার মাধ্যমে ডেমোক্রেটিক কসমোপলিসির কথা বলেন ড. ফাহিম কাদির।
প্রফেসর রানু বসু বলেন, এখানে এতবেশি খণ্ডকালীন চাকরির দিকে ধাবিত হচ্ছি, যেন পুরো অর্থনৈতিক কাঠামোটাই পাল্টে যাচ্ছে।
আবদুল হালিম মিয়া মূলত সেটেলমেন্ট এবং এমপ্লয়মেন্টের ক্ষেত্রে বিরাজমান সমস্যা সমাধানের প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।
শ্রম বাজারের বাধাগুলো দূর করার কথা বলেন ড. শ্রাবণী মিত্র।
অন্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন- বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন মজিদ, বায়েসের ট্রেজারার দিলরুবা খানম, সদস্য রিজুয়ান রহমান, মাহবুব আলম, আবদুল্লাহ হারুন ইমাম, সিমা দাস, পল বকটিং প্রমুখ।
অনুষ্ঠান সমম্বয়ের দায়িত্বে ছিলেন বায়েসের জেনারেল সেক্রেটারি গোলাম মোস্তফা। বায়েসের প্রেসিডেন্ট ইমাম উদ্দিন অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৮২৬ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০১৫
এইচএ/