এবারের মেলায় চিকিৎসক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ওয়ালেদ চৌধুরী এবং লেখক ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ফরিদুর রেজা সাগরকে আজীবন সম্মাননা দেওয়া হবে। মেলায় গান গাইবেন রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা।
নিউইয়র্ক বইমেলার আহ্বায়ক ড. নজরুল ইসলাম বলেন, মেলায় ভারত-বাংলাদেশের অসংখ্য লেখক ও প্রকাশনী সংস্থা যেমন থাকবে, তেমনি থাকবে স্বরচিত কবিতা, কবিতা আবৃত্তি, সাহিত্য আলোচনা, নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচনসহ লেখক-প্রকাশ-পাঠকদের নিয়ে নানা আয়োজন। সৈয়দ আবদুল হাদীর কন্যা তনিমা হাদী ছাড়াও জনপ্রিয় প্রবাসী শিল্পীরা গান গাইবেন। থাকবে শাড়ি-গহনার স্টল। আমরা চেষ্টা করেছি, বইকেন্দ্রীক প্রবাসী বাঙালিদের জন্য উৎসব আয়োজন করতে।
মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. জিয়াউদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘জীবনে বই, মননে বই’ হলো আমাদের ২৮তম বইমেলার স্লোগান। আমরা চাই, বাংলা বইয়ের প্রসার হোক বিশ্বব্যাপী। মানুষের জীবনে ও মননে ভালো বইয়ের প্রভাব পড়ুক। সারা বছর সবাই মিলে চেষ্টা করি, ভালো সব বইয়ের প্রকাশনী যেন এ মেলায় উপস্থিত থাকে। মানুষ যেসব লেখকদের ভালোবাসে, আমরা চেষ্টা করি, মেলায় তাদের উপস্থিত করতে। আমেরিকার বিভিন্ন প্রদেশসহ অন্য দেশে আমাদের অনুকরণে বইমেলার আয়োজন হচ্ছে। তারা আমাদের সহযোগিতা চেয়েছেন। আমি মনে করি, এটা আমাদের একটি বড় অর্জন।
মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, লেখক ও সম্পাদক আবুল হাসনাত, সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির, লেখক ও কার্টুনিস্ট আহসান হাবীব, লেখক ও সাংবাদিক আনিসুল হকসহ আরও অনেকে ইতোমধ্যে নিউইয়র্ক পৌঁছেছেন। লেখক সেলিনা হোসেন, কবি হাবিবুল্লাহ সিরাজী, সাজ্জাদ শরীফ, বিমল গুহ, জাফর আহমদ রাশেদসহ আরও অনেক লেখক মেলায় আসবেন বলে নিশ্চিত করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, ভারপ্রাপ্ত সাংস্কৃতিক সচিব ড. মো. আবু হেনা মোস্তফা কামাল, জাতিসংঘের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন, নিউইয়র্কের কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুন্নেসা মেলায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১০ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০১৯
একে