খুলনা: ক্রিকেটের টানে মাঠে আসা দর্শকরা স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে নিজ নিজ সিট দখলের পরপরই মেতে উঠছেন স্মার্টফোন বা ট্যাবলেট দিয়ে সেলফি তোলার উৎসবে। সঙ্গে সঙ্গেই তা আপলোড করছেন ফেসবুকে।
বন্ধু-বান্ধব, পরিবার-পরিজনের সঙ্গে সেলফি তোলার এমন দৃশ্য দেখে মনে হতেই পারে সবাই বুঝি সেলফি প্রতিযোগিতায় মেতে উঠেছেন।
বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তানের মধ্যে চলা প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিনে গ্যালারিতে গিয়ে এমন দৃশ্যের দেখা মেলে।
এসব দর্শকদের কেউবা গালে বাংলাদেশের পতাকার ট্যাটু এঁকেছেন। কেউ কেউ পোষাকই পরেছেন লাল-সবুজ রংয়ের। অনেকের হাতেই শোভা পাচ্ছে বাংলাদেশের পতাকা। আবার কারও পুরো গায়ে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের ডোরাকাটা।
টাইগারদের ভক্ত-সমর্থক এসব দর্শকরা জানান, মাঠে বসে খেলা দেখার এমন মুহূর্তকে স্মরণীয় করে রাখার জন্যই একের পর এক সেলফি তুলছেন তারা।
এক নং গ্যালারিতে স্মার্টফোনে নিজের ছবি তুলছিলেন কবীর হোসেন, জাকারিয়া ও হাসান।
তারা বাংলানিউজকে বলেন, বন্ধুরা মিলে একসঙ্গে স্টেডিয়ামে খেলা দেখতে এসেছি। এটা তো একটা স্মৃতি।
প্রিয় তারকারা মাঠে, সেই অবস্থায় তাদের তাক করে সেলফি তুলতে চেষ্টা করছি।
দুই নং গ্যালারিতে কথা হয় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মৌমিতা সাহার সঙ্গে। তিনি বলেন, বর্তমানে সেলফি একটি জনপ্রিয় বিষয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেকে জানান দিতেই সেলফি তোলা। মাঠে এসে হইহুল্লোড় করে খেলা দেখছি, বান্ধবীদের এটা জানান দিতেই সেলফি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করছি।
তবে সেলফি উৎসবে দর্শক গ্যালারির কোনো কোনো দর্শক বিরক্তও হচ্ছেন।
সব কিছুর শেষে গ্যালারিতে উপস্থিত বাংলাদেশি সমর্থকদের একটাই প্রার্থনা জয় নিয়ে যেন মাঠ ছাড়তে পারেন টাইগাররা। খুলনার এ স্টেডিয়ামকে বলা হয় লাকি ভেন্যু। তাই এ লাকি ভেন্যুর সম্মানটা যেন বজায় থাকে, এটাই তাদের চাওয়া। ম্যাচ শেষেও এভাবেই যেন অটুট থাকে সেলফিতে ধরে রাখা তাদের উচ্ছ্বাসের হাসি।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১৫
এমআরএম/আরএম