খুলনা থেকে: প্রথম দিনের ব্যাটিং শেষে মমিনুল হক বলেছিলেন, খুলনার উইকেটে ৩০০ রান করলেই লিড পাওয়া যাবে। তার কথাকে মিথ্যা প্রমান করে শতরানের বেশি লিড নিয়ে এগিয়ে চলেছে সফরকারীরা।
উইকেটে মিসবাহ ৫৬ রান নিয়ে অপরাজিত রয়েছেন। হাফিজের বিদায়ে আসেন আসাদ শফিক (২৮ রান)। এ দু’জন মিলে স্কোরবোর্ডে আরও ৫৭ রান যোগ করেছেন।
পাকিস্তান ৪ উইকেট হারিয়ে তুলেছে ৪৫৯ রান। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সফরকারীরা স্বাগতিকদের থেকে ১২৭ রান এগিয়ে রয়েছে।
এর আগে ১০৫ রানে পিছিয়ে থেকে মিসবাহ বাহিনী তৃতীয় দিন শুরু করে। দিনের শুরুতে সফরকারীদের হাতে ছিল ৯ উইকেট।
স্বাগতিক বোলারদের অপেক্ষায় রেখে এগিয়ে চলছিল পাকিস্তানের ইনিংস। তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনে সতর্ক থেকে ব্যাট করছিলেন সেঞ্চুরিয়ান মোহাম্মদ হাফিজ এবং আজহার আলি। তবে, ইনিংসের ৭২তম ওভারে এসে দিনের প্রথম সাফল্য ধরা দেয় টাইগার দলে। শুভাগতের বলে সরাসরি বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন ৮৩ রান করা আজহার আলি।
আউট হওয়ার আগে আজহার আলি ১৭৭ বলে চারটি চার আর একটি ছয়ে তার ইনিংস সাজান। হাফিজের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ২২৭ রানের বড় জুটিও গড়েন আজহার। দু’জন মিলে টাইগার বোলারদের ৬০ ওভার অপেক্ষায় রাখেন।
প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিন টাইগারদের প্রথম ইনিংসে করা ৩৩২ রান টপকে ম্যাচে লিড বাড়ানোর চেষ্টা করে সফরকারী পাকিস্তান। বিরতির পর মাঠে নেমে তাইজুলের শিকারে সাজঘরে ফেরত যান ইউনিস খান। ব্যক্তিগত ৩৩ রান করে তাইজুলের ঘূর্ণিতে পরাস্ত হয়ে সরাসরি বোল্ড হন ইউনিস। তাইজুলের অসাধারণ এক ঘূর্ণিতে আউট হওয়ার আগে ইউনিস খান ৬৮ বলের ইনিংসে ৪টি বাউন্ডারি হাঁকান। ইউনিসকে নিয়ে হাফিজ ৬২ রানের জুটি গড়েন।
তৃতীয় দিনের মধ্যাহ্ন বিরতির আগে স্বাগতিক বোলারদের ছিল একটিই সাফল্য। বাংলাদেশ বড় জুটি ভেঙে হাফিজ-আজহারকে বিচ্ছিন্ন করলেও ঠিক সেখান থেকেই যেন পাকিস্তানের রানের চাকা ছুটিয়ে নিয়ে চলেন হাফিজ-ইউনিস জুটি।
অবশেষে ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকানো মোহাম্মদ হাফিজকে ফেরান স্পিনার শুভাগত হোম। ২২৪ রানের মহাকাব্যিক ইনিংস খেলার পর পাকিস্তানি এ ওপেনার মাহমুদ্দুল্লাহ রিয়াদকে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিওনে ফেরেন। তিনি ৩৩২ বলে ২৩টি চার আর তিনটি ছক্কায় এ ইনিংসটি সাজান। মিসবাহর সঙ্গে ৬৩ রানের জুটি গড়েন হাফিজ।
এর আগে দ্বিতীয় দিন মোহাম্মদ হাফিজ আর আজহার আলির ব্যাটিং দৃঢ়তায় শক্ত অবস্থান নেয় পাকিস্তান। টাইগারদের প্রথম ইনিংসে করা ৩৩২ রানের জবাবে পাকিস্তান নিজেদের প্রথম ইনিংসে দ্বিতীয় দিন শেষে এক উইকেট হারিয়ে তোলে ২২৭ রান। হাফিজ ১৩৭ রানে এবং ১৯তম অর্ধশতক হাঁকিয়ে আজহার ৬৫ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেন। আজহারকে সঙ্গে নিয়ে দ্বিতীয় দিন ১৭৭ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন হাফিজ।
টেস্ট ৠাংকিংয়ের চার নম্বর দল পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় দিন এক রকম চাপের মধ্য থেকে শেষ করে বাংলাদেশ। আট বোলার ব্যবহার করেও স্বাগতিকরা মাত্র একটি উইকেটের দেখা পায়। পাকিস্তানি ওপেনার সামি আসলামকে উইকেটের পেছনে মুশফিকের গ্লাভসবন্দি করেন তাইজুল ইসলাম। আউট হওয়ার আগে অভিষিক্ত এ ব্যাটসম্যান করেন ২০ রান।
এর আগে টেস্টের প্রথম দিন চার উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ সংগ্রহ করে ২৩৬ রান। দ্বিতীয় দিন ব্যাটিংয়ে নেমে আগের দিনের সঙ্গে আর মাত্র ৯৬ রান যোগ করতেই অলআউট হয়ে যায় মুশফিক বাহিনী। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮০ রান করেন মমিনুল হক। এছাড়া টাইগার ওপেনার ইমরুল কায়েস ৫১, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ৪৯, সৌম্য সরকার ৩৩, মুশফিক ৩২, তামিম ২৫ ও সাকিব ২৫ রান করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, ৩০ এপ্রিল ২০১৫
এমআর
** ব্রেক থ্রু’য়ের অপেক্ষায় বাংলাদেশ
** দিনের শেষ সেশনে নেমেছে স্বাগতিকরা
** অবশেষে হাফিজকে ফেরালেন শুভাগত
** ভালো সংগ্রহের দিকে সফরকারীরা
** হাফিজের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি
** তাইজুলের দ্বিতীয় শিকার ইউনিস
** বিরতির পর এগুচ্ছে সফরকারীদের ইনিংস
** মধ্যাহ্ন বিরতি, পাকিস্তানের লিড
** ছুটে চলেছে পাকিস্তানের ইনিংস
** আজহারের স্টাম্প উড়ালেন শুভাগত
** উইকেটের অপেক্ষায় স্বাগতিক বোলাররা
** ম্যাচে ফিরতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
** বড় সংগ্রহের ইঙ্গিত পাকিস্তানের