ঢাকা: ভারতের মাটিতে বসতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশে এশিয়া কাপের আসর বসেছে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে এবারই প্রথম এশিয়া কাপ হচ্ছে টি-টোয়েন্টি ফরমেটে।
মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে এখন পর্যন্ত যতগুলো খেলা গড়িয়েছে তাতে দলীয় সর্বোচ্চ স্কোর ভারতের। উদ্বোধনী ম্যাচে স্বাগতিক বাংলাদেশের বিপক্ষে টিম ইন্ডিয়া করে ১৬৬ রান। এশিয়া কাপের দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কা আমিরাতের বিপক্ষে গুটিয়ে যায় ১২৯ রানে। তৃতীয় ম্যাচে একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে বাংলাদেশ তোলে ১৩৩ রান। আর চতুর্থ ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তান গুটিয়ে যায় মাত্র ৮৩ রানে।
এমন হওয়ার কারণটি অনুমেয়। প্রতিটি দলের ব্যাটিং ব্যর্থতার সঙ্গে রয়েছে মিরপুরের উইকেটের বিচিত্রতা। আর বাংলাদেশের ক্রিকেটের ‘হোম অব ক্রিকেট গ্রাউন্ড’ খ্যাত মিরপুরের উইকেটকে ‘আদর্শ উইকেট নয়’ বলে জানান টিম ইন্ডিয়ার দলপতি মহেন্দ্র সিং ধোনি।
ভারতের মাটিতে বসতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে নিজেদের শেষবারের মতো ঝালিয়ে নেওয়ার সুযোগ হয়ে আসে এশিয়া কাপ। তবে, মিরপুরের উইকেটের এমন ব্যবহারে সন্তুষ্ট নন ধোনি। ‘ক্যাপ্টেন কুল’ খ্যাত এই দলপতি জানান, আমরা ভেবেছিলাম বিশ্বকাপে মাঠে নামার আগে মিরপুরে নিজেদের প্রস্তুতিটা বেশ ভালোই হবে। কিন্তু, এখানের উইকেটে ব্যাটসম্যানরা নিজেদের খুঁজে পাচ্ছেনা। বেশিরভাগ ম্যাচই লো-স্কোরিং হচ্ছে।
ধোনি আরও জানান, টি-টোয়েন্টি মানেই রানের খেলা। দর্শকরা চার-ছক্কার মার দেখতে ভালোবাসে। কিন্তু মিরপুরের এই উইকেটে সেটা সম্ভব হচ্ছেনা। আপনি অবশ্যই ৮০ বা ১০০ রানের মধ্যে টি-টোয়েন্টির সেই আমেজ খুঁজে পেতে চাইবেন না। ১৩০-১৩৫ রান টি-টোয়েন্টির জন্য লো-স্কোরিং হতে পারে। যেখানে ২০০-২৪০ রানও করা সম্ভব।
টানা দুই ম্যাচ জিতে ফাইনালের পথে এগিয়ে থাকা দলপতি ধোনি যোগ করেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভাল করতে হলে আমাদের এই উইকেটেও ভাল করতে হবে। তবে কন্ডিশনটাও মাথায় রাখতে হবে। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে আমাদের ব্যাটসম্যানরা যেভাবে ব্যাট করেছে, আমরা আশা করছি সামনে ভাল উইকেটে খেলা হলে সেভাবেই ব্যাট চালাতে পারবে আমাদের ব্যাটসম্যানরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৭ ঘণ্টা, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬
এমআর