আগের অংশ পড়ুন>> খাদ্যাভাস
উদাহরণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশারের ক্যারিয়ারের শেষ সময়ে (২০০৩ সাল) আঙুল ভেঙে গেল। আমি দেখলাম আঙুলে ফ্র্যাকচার।
খেলায় বাশার খারাপ করেনি, কিন্তু পরে তাকে সার্জারি পর্যন্ত করাতে হয়েছে।
ম্যারাডোনা নাকি যখন খেলতেন অ্যাঙ্কেলে ৬-৭টা ইনজেকশন নিতেন। পায়ের প্রায় দ্বিগুন সাইজের বুট পড়তেন, ওর পা এত্ত ফোলা থাকতো। এগুলোকে খেলায় বলে ক্যালকুলেটিভ রিস্ক। এগুলো প্লেয়াররা নেবেনই। সেখানে একটা টাকার হিসাবও থাকে। একটা ম্যাচ খেলে ১ কোটি টাকা পান। পাঁচ ম্যাচ খেলে ৫ কোটি পাবেন তারপর সার্জারি করাবেন। এরকমই। যা খেলোয়াড়রা অহরহ করছেন।
দেবাশীষ বলেন, তবে এই রিস্ক না নেওয়াই ভালো বলে মত দেন তিনি। বলেন, অবশ্যই মেডিকেল টিমের লক্ষ্য থাকে ওরা যেন সেভ থাকে।
অনেকে আবার এই হিসাবও করে খেলোয়াড়ী জীবন ধরা হয় ১৫ বছরের। ইনজুরিতেই যদি ৫ বছর কেটে যায়...। আর সে কারণেই ঝুঁকি নেয়।
তিনি বলেন, ব্যথা মাপার তো কোনো মেশিন নাই। একটা প্লেয়ার যদি ব্যাথা সহ্য করে, কিংবা লুকিয়ে ব্যাটিং কিংবা বোলিং করে যায় আপনি কী করবেন।
ইনজুরি লুকিয়ে খেলার অভ্যাস তো থাকেই খেলোয়াড়দের মাঝে, বলেন তিনি। কেউ হয়তো একই ইনজুরি নিয়ে প্রিমিয়ার লিগ খেলছে না কিন্তু বিপিএল খেলছে। একই মাত্রার ইনজুরি নিয়ে আবার বিপিএল খেলছে না জাতীয় দলে ঠিকই খেলছে। কেউ ইনজুরি খেলতে চাইলে বাধা দেওয়ার উপায় তো নেই। তবে এখন ধীরে ধীরে এই হার কমে এসেছে।
কিন্তু ইনজুরিতে পড়া কোনও খেলোয়াড়কে নিয়ে আপনি দীর্ঘমেয়াদে পরিকল্পনা করতে পারবেন না। খেলাটা যেহেতু একই ধরনের, ফলে একবার ইনজুরি হলে, সে কাজটি করতে গিয়ে যে কোনো সময় আবার ইনজুরিতে পড়তে পারে। দ্বিতীয়ত আত্মবিশ্বাসে ঘাটতি কিন্তু থেকে যাবে। শরীরের বিরুদ্ধে মনের জোর খাটিয়ে বেশিক্ষণ টিকে থাকা যায় না। যার যেখানে আঘাত মন পড়ে থাকবে সেখানে। সেখানটাকে বাঁচিয়ে খেলার চেষ্টা করবে, আর তাতে খেলাটাই হয়ে যাবে খারাপ।
পরের অংশ পড়ুন>> ক্যারিয়ারের সীমা