৪৫তম ওভারে প্যাট কামিন্সের বলে ম্যাথু ওয়েডের হাতে ক্যাচ তুলে না দিলে ক্যারিয়ারের নবম টেস্ট সেঞ্চুরিটি পাওয়া থেকে বঞ্চিত হতেন না তামিম। প্রথমবার অজিদের বিপক্ষে খেলেই সেঞ্চুরি! সে তো চাট্টিখানি কথা নয়।
কিন্তু সেই কাজটি করতে না পারায় দারুণ হতাশ সহ-অধিনায়ক তামিম, ‘যেভাবে ব্যাটিং করেছি, সেঞ্চুরি পেলে অবশ্যই খুশি হতাম। যেভাবে ডিসিপ্লিনড ওয়েতে আমি ব্যাটিং করেছি, যতোটা কষ্ট করেছি, আমি একটা সেঞ্চুরি পেতেই পারতাম। কিন্তু এই উইকেটে কিছুই নিশ্চিত নয়। ’
মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) মিরপুর শের-ই-বাংলার সংবাদ সম্মেলনে উঠে আসে গত বছর অক্টোবরে অনুষ্ঠিত ইংল্যান্ড সিরিজের প্রসঙ্গ। বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে জয়ের জন্য ২৭৩ রানের লক্ষ্যে নামা ইংলিশরা দলীয় ১০০ রান তুলেছিল বিনা উইকেটে। ঠিক তারপরেই মিরাজ ঘূর্ণিতে কক্ষপথ থেকে সরে যায় ইংলিশরা। বাকি ৬৪ রান তুলতে হারায় ৯টি উইকেট। প্রথমবারের মতো ইংলিশদের বিপক্ষে আসে ১০৮ রানের অবিস্মরণীয় জয়।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এই ম্যাচটিকেও অনেকটা ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওই ম্যাচের অনুরূপ দেখছেন তামিম, ‘ইংল্যান্ডের ম্যাচটার মতোই পরিস্থিতি। আগামীকাল আমাদের যে জিনিসটা করতে হবে, কিছুক্ষণ আগে বললাম, উইকেটটা আনপ্রেডিক্টেবল, তাই ভালো জায়গায় বোলিং করে যেতে হবে। উইকেটের জন্য নয়। ডট বলের জন্য বল করে, চাপ দিতে থাকলে উইকেট আসবে। ১৫০ রান খুব বেশি মনে হচ্ছে না। উইকেটটাই এমন। যে দু’জন আছে, তাদের একজন আউট হয়ে গেলে কী হবে আপনি জানেন না। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, ২৯ আগস্ট ২০১৭
এইচএল/এমআরপি