ক্রিকেটে সবসময়ের শক্তিশালী এই দলটির বিপক্ষে প্রথমবারের মতো টেস্টে ২০ রানের রোমাঞ্চকর জয়ের আনন্দের সঙ্গে বাড়তি এই বিষয়টিও বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের কাছে।
আর মূলত সেটি বোঝাতেই বুধবার (৩০ আগস্ট) ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বিশেষ একটি ঘটনা তুলে ধরলেন মুশফিক, ‘মাঠে তারা তো আক্রমণাত্মক ছিলই, তারাও বুঝেছে বাংলাদেশ দল কতটা আক্রমণাত্মক হতে পারে।
বাদ দিলেন না মাঠের বাকযুদ্ধের প্রসঙ্গও। টাইগরাদের ব্যাটিংয়ের মুহূর্তে এদিক ওদিক নানাবিধ কথা বলে প্রচ্ছন্ন চাপ প্রয়োগের চেষ্টা করেছে অজিরা। শুধু টপ অর্ডাররাই নন। অজিদের স্লেজিং থেকে বাদ যাননি টাইগার টেলএন্ডার ব্যাটসম্যানরাও।
মুশফিকের মতে, ‘শুধু আমাদের না, যারা টেলএন্ডারে ব্যাটিং করতে গিয়েছে তাদের ওপরও চাপ ছিল। অস্ট্রেলিয়া জানে যে, এই উইকেটে একটা-দুইটা রান কত গুরুত্বপূর্ণ। শুধু সিনিয়র প্লেয়ার না, যারা তরুণ তাদেরকেও ওরা অনেক কথা বলেছে। আমরা তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছি। অস্ট্রেলিয়া বুঝেছে, বাংলাদেশ আগের জায়গায় নেই। শুধু ব্যাটে-বলে না। ’
কিন্তু সেই চাপটি বেশ সফলতার সাথেই সামলেছে বাংলাদেশ। দারুণ আত্মবিশ্বাসের বলে বলীয়ান হয়ে তুলে নিয়েছে ২০ রানের ঐতিহাসিক এই জয়। আর জয়ের এই ধারাবাহিকতা সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে চট্টগ্রামেও অব্যাহত রাখতে চান মুশফিক।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের এমন কিছু ক্রিকেটার আছে যারা যেকোনো পরিস্থিতি থেকে সামলে উঠতে পারে, বিশ্বাসটা আছে। সব মিলিয়ে খুব ভাল একটা ম্যাচ গেছে। এখন আত্মতুষ্টিতে না ভুগে এগোতে হবে। সিরিজ জয়ের অনেক বড় একটা সম্ভাবনা আছে এবং সেটা আমরা করতে চাই। এরকম সুযোগ সবসময় আসে না। এরকম চাপেও অস্ট্রেলিয়া দল সবসময় থাকে না। এটা আমরা কাজে লাগাতে চাই। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৪ ঘণ্টা, ৩০ আগস্ট ২০১৭
এইচএল/এমএমএস