মুশফিক ৬২ ও নাসির হোসেন ১৯ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। মুশফিকের এটি ১৮ নম্বর টেস্ট ফিফটি।
থার্ড আম্পায়ার রিপ্লেতে দাগে পা থাকা নিয়ে কিছুটা অস্পষ্টতা ছিল। শেষ পর্যন্ত স্ট্যাম্পিং আউটের সিগন্যাল দেন টিভি আম্পায়ার আলিম দার। টার্ন করে লেগ সাইডে নাথান লায়নের আচমকা লাফিয়ে ওঠা বল মারতে গিয়ে পায়ের ব্যালেন্স ধরে রাখতে পারেননি সাব্বির। স্পিনবান্ধব উইকেটের পুরো সুবিধা আদায় করে নেন অজি অফস্পিনার লায়ন। একাই তুলে নেন পাঁচটি উইকেট।
সাকিব ব্যক্তিগত ২৪ রানে বিদায় নেন। দলীয় স্কোর তখন পাঁচ উইকেটে ১১৭। অ্যাশটন অ্যাগারের ডেলিভারি ব্যাট ছুঁয়ে ম্যাথু ওয়েডের গ্লাভসে আটকা পড়ে। তার আগে উইকেটে সেট হয়ে এলবিডব্লু হয়ে সাজঘরে ফেরেন একাদশে ফেরা মুমিনুল হক (৩১)। ৮৫ রানে চতুর্থ উইকেটের পতন ঘটে।
এর আগে সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন মুশফিক। সৌম্য-মুমিনুল জুটিতে ৭০ রানে তিন উইকেট নিয়ে প্রথম সেশন শেষ হয়। মধ্যাহ্ন বিরতির (৩০তম) ওভারে আউট হয়ে যান সৌম্য সরকার।
উইকেটে থিতু হয়ে রানে ফেরার ইঙ্গিত দিলেও বেশিদূর যেতে পারেননি। ৮১ বল মোকাবেলায় ৩৩ রান করে লায়নের তৃতীয় এলবিডব্লুর শিকার হন। তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েসকে হারানোর প্রাথমিক ধাক্কা সামলে মুমিনুলের সঙ্গে সৌম্যর পার্টনারশিপে আসে ৪৯।
ফর্মের তুঙ্গে থাকা তামিমকে (৯) দশম ওভারের মাথায় এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলেন লায়ন। হোম ভেন্যুতে ঢাকা টেস্টের দুই ইনিংসেই (৭১ ও ৭৮) অর্ধশতকের পুনরাবৃত্তি টানতে পারলেন না দেশসেরা ওপেনার।
আবারো ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন ইমরুল (৪)। দলীয় ২১ রানের মাথায় লায়নের দ্বিতীয় শিকার তিনি। আম্পায়ার এলবিডব্লুর আবেদনে সাড়া না দিলেও রিভিউ নিয়ে সফল হয় সফরকারীরা। ঢাকা টেস্টে ইমরুলের ব্যাট থেকে আসে মাত্র ২ রান।
সিরিজ নিশ্চিতের ম্যাচে বাংলাদেশ একাদশে একটি পরিবর্তন আনা হয়েছে। পেসার শফিউল ইসলামের জায়গায় ফিরেছেন টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান মুমিনুল। চাপের মুখে থাকা অজি টিমে দু’টি পরিবর্তন। বাদ পড়েছেন ওসমান খাজা। ইনজুরির কারণে আগেই ছিটকে গেছেন পেসার হ্যাজলউড। দু’জনের পরিবর্তে খেলেন হিল্টন কার্টরাইট ও হ্যাজলউডের অভাব পূরণে ডাক পাওয়া স্পিন অলরাউন্ডার স্টিভ ও’কিফ।
মিরপুরে অনুষ্ঠিত প্রথম টেস্টে ২০ রানের রোমাঞ্চকর জয়ে দুই ম্যাচ সিরিজে ১-০ তে লিড নেয় টিম বাংলাদেশ। পাঁচবারের দেখাতেই অজিদের প্রথমবার টেস্টে হারিয়ে নতুন উচ্চতায় পা রাখে টাইগাররা।
বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, ইমরুল কায়েস, মুমিনুল হক, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক ও অধিনায়ক), সাব্বির রহমান, নাসির হোসেন, মেহেদি হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান।
অস্ট্রেলিয়া একাদশ: ডেভিড ওয়ার্নার, ম্যাট রেনশো, স্টিভেন স্মিথ (অধিনায়ক), পিটার হ্যান্ডসকম্ব, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, হিলটন কার্টরাইট, ম্যাথু ওয়েড (উইকেটরক্ষক), অ্যাশটন অ্যাগার, প্যাট কামিন্স, স্টিভ ও’কিফ, নাথান লায়ন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৭ ঘণ্টা, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
এমআরএম